আগুন লাগা ডিপোতে আ.লীগ নেতার মালিকানা ৫ শতাংশ: তথ্যমন্ত্রী

সীতাকুণ্ডের বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোকে আওয়ামী লীগ নেতার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বলে সংবাদ প্রকাশ করে অপসাংবাদিকতা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘কোনও কোনও গণমাধ্যমে রিপোর্ট করা হয়েছে, ওই কনটেইনার ডিপোটি একজন আওয়ামী লীগ নেতার। আমি খোঁজ নিয়েছি, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমানের ওই ডিপোতে মালিকানা মাত্র পাঁচ শতাংশ। ৯৫ শতাংশের কথা না বলে পাঁচ শতাংশের মালিককে ডিপোর মালিক দেখিয়ে যারা নিউজ করছেন, আওয়ামী লীগ নেতার ডিপো বানানোর চেষ্টা করেছেন, সেই সাংবাদিকতা সঠিক হয়নি। অপসাংবাদিকতা হয়েছে।’

সোমবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

এ সময় দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা হচ্ছে। কোনও কোনও জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাও হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় দেশবাসীর দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও নাশকতা আছে কিনা দেখা হচ্ছে। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি দেশের ভাবমূর্তি এবং রফতানি বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য রয়েছে, তাও দেখা হচ্ছে।

এ সময় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার পরপরই প্রধানমন্ত্রী প্রশাসন এবং আমাদের দলের সমস্ত পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যা কিছু করা প্রয়োজন সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী সিভিল প্রশাসন এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো এগিয়ে এসেছে। আমাদের দলের সমস্ত পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও কাজ করছেন। 

সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকার কোনও উন্নতি করতে পারেনি বলে সীতাকুণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উনার ইদানীংকালের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, উনার একটু চিকিৎসার দরকার। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সজ্ঞানে কথা বলেছেন কিনা আমি জানি না। নাকি উনি আধাচেতন অবস্থায় কথা বলেছেন, যেটা গয়েশ্বর বাবু বলেন, সেরকম বলেছেন কিনা আমি জানি না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যদি ভালো না হতো, দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এক নম্বর হতো না। সমগ্র পৃথিবীতে এক নম্বর হতো না। এই দুর্ঘটনার পর স্বাস্থ্যকর্মী, ডাক্তার এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা যেভাবে এগিয়ে এসেছে, এটি অভাবনীয়।