নারীদের পাইলট হতে প্রণোদনার প্রস্তাব

জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বাজেট উপস্থাপনকালে নানা সুপারিশ তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। নারীর উন্নয়নেও বেশ কিছু সুপারিশ এসেছে বাজেটে। এভিয়েশন খাতে নারীদের উৎসাহিত করতে বাংলাদেশের ফ্লাইং স্কুলে ২ জন নারীকে পাইলট প্রশিক্ষণে প্রণোদনা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

বাজেটে নারী উন্নয়নে ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো হচ্ছে, দেশের সব অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে পর্যায়ক্রমে নারীদের জন্য টয়লেট ফ্যাসিলিটি বাড়ানো। নারী নিরাপত্তায় বিমানবন্দরগুলোর চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো এবং লাইটিং ব্যবস্থার উন্নয়ন করা। বিভিন্ন জেলা সদরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ হোটেল স্থাপনের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে নারীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে স্যুভিনিয়র শপ নির্মাণ করে নারীদের বরাদ্দ প্রদানে অগ্রাধিকার দেওয়া।

স্থানীয় পণ্যের প্রসার ও প্রচারের মাধ্যমে বিপণন কার্যক্রমে নারীদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে

নারীদের জন্য প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা। কর্মরত নারীদের জন্য বাণিজ্যিক ইউনিটগুলোতে পৃথক ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার এবং ডে-কেয়ার (শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র) কর্নার স্থাপন করা। নারীদের জন্য পৃথক অভিযোগ বক্স স্থাপন করা।

বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প (যেমন: মৃৎ শিল্প, কাঁসা, তাঁত, বাঁশ-বেত শিল্প ইত্যাদি) এর সঙ্গে জড়িত প্রান্তিক নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পর্যটন শিল্প সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। হোমস্টে/কমিউনিটিবেজড (সিবিটি) ট্যুরিজম সুবিধা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করা। কক্সবাজার, পার্বত্য এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নারীর নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা। পর্যটন আকর্ষণসমূহ চিহ্নিতকরণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য দেশে-বিদেশে প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণে নারীদের উৎসাহ দেওয়া।