প্রকল্প থেকে এজেন্সি হচ্ছে এটুআই

তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই)’ গঠন করছে সরকার। এটুআই প্রথমে ছিল অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন, তারপর অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট, এখন এসে বলছি এজেন্সি টু ইনোভেট। এটি আগে প্রকল্প ছিল। এখন এজেন্সি হিসেবে গঠনের জন্য আইনের খসড়া অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছিল। মন্ত্রিসভা আইনটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন জানান, যে এজেন্সি গঠিত হবে তা তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের একটা পলিসি তৈরি বা ইনোভেশনকে উৎসাহিত করবে—এ রকম একটা পরিবেশ তৈরির জন্য সহযোগিতা দেবে। এজেন্সিটি তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্ভাবনীর সংস্কৃতি বিকাশে কাজ করবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এজেন্সি পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের একটি পরিচালনা বোর্ড থাকবে। বোর্ডের সভাপতি হবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী। আর একটি থাকবে নির্বাহী কমিটি, সেখানে ওই বিভাগের সচিব সভাপতি হবেন। এছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের যে রকম সাংগঠনিক কাঠামো থাকে সেভাবে পরিচালিত হবে।

তিনি বলেন, আইনের মধ্যে জনবল স্থানান্তরের বিষয়ে কোনও কিছু নেই। চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দিয়ে নির্ধারিত হবে বলে আইনে উল্লেখ রয়েছে। প্রথমে একটি সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি করতে হয়। জনপ্রশাসন, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদনের পর সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি হয়।