শুক্রবার রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি দেশ ও জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রয়োজন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া জড়িত ছিলেন।’
পুরো জাতির কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘যেদিন বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় সেদিন খালেদা জিয়া অনেক ভোরেই তার বাড়ি থেকে গোপনে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন। তিনি কয়েকদিন তার বাসাতে ছিলেন না। তাই সেদিন তিনি এত ভোরে ঘুম থেকে উঠে কোথায় গিয়েছিলেন তা আগে জানতে হবে।’
বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান বলেন, ‘তারা মানববন্ধন ও বিভিন্ন সভা করে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের আরও তদন্তের দাবি জানায়।’
বিডিআর বিদ্রোহে যে সকল চৌকশ অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিলে তার প্রায় ৭০ ভাগ আওয়ামী পরিবারের সদস্য। তাদের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। যেহেতু তারা আ. লীগ পরিবারের ছিল, তাই বিএনপির আমলে তাদেরকে সেনাবাহিনী থেকে বের করে বিডিআরে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সাবেক এ মন্ত্রী দাবি করে বলেন, ‘বিডিআরের জোয়ানদের এটা কোনও বিদ্রোহ ছিলনা। এটি একটি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল।’
একই আলোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সকল হত্যাকাণ্ডের যখন বিচার হচ্ছে,তখন বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র চলছে।মঠ পুরোহিত হত্যাকাণ্ড তারই একটা অংশ।’
বাংলাদেশকে যারা পরিকল্পিতভাবে জঙ্গি ও আইএস রাষ্ট্র বানাতে চায়, বিএনপি-জামায়ত মূলত তাদেরকেই সহয়াতা করছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির বর্তমান যে অবস্থা তাতে তারা আর কখনও বাংলাদেশের মাটিতে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না।’
নিজ দলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে কামরুল বলেন, ‘আগামী ৮ মার্চ আপিল ডিভিশন যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের রায় দেবে।তাই সকল নেতা-কর্মীকে অতন্ত্র প্রহরীর মতো সজাক থাকতে হবে।’
সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার জাকির আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আব্দুল হাই কানু প্রমুখ।
এসআইএস/এপিএইচ/