‘আমরা কৃষি ক্যালেন্ডার পাল্টে দিয়েছি, এখন সবকিছুই ১২ মাস পাওয়া যাচ্ছে’

সমবায়ের মাধ্যমে কৃষিযান্ত্রিকীরণ করে চাষাবাদের উন্নয়নের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের নির্বাচনি এলাকায় মডেল হিসেবে শুরু করার পাশাপাশি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টেদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। সরকারের প্রচেষ্টায় কৃষি উৎপাদন বেড়েছে এবং প্রায় সব শাকসবজিই ১২ মাস পাওয়া যাচ্ছে বলেও এসময় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।  

জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন পরবর্তী গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক সাইখ সিরাজের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন।

সরকার হাওর অঞ্চলে কৃষিযান্ত্রিকী করণে ৭০ শতাংশ ও অন্য অঞ্চলে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নির্দেশ দিয়েছি কো-অপারেটিভ করে মেশিনপত্র যা থাকবে সমবায়ের থাকবে। কৃষক নেবে। তেলপানির খরচ দেবে। তারা ব্যবহার করবে। তাহলে তো ব্যক্তির ওপর কৃষকদের নির্ভরশীল থাকতে হবে না। সেই উদ্যেগটা আমরা নিচ্ছি। আমার ওখানে আমি শুরু করেছি। এই মডেলটা আমি করবো। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে একটি হারভেস্টর ও একটি এসকেভেটর ইতোমধ্যে কিনে দিয়েছি। সেটা রাখা আছে। আমি বলেছি এটা কো-অপরাটিভ করে আমার দুই এলাকায় (টু্ঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) জমি পরিষ্কার ও চাষ করা। সেই সঙ্গে অন্যান্য ছোট মেশিন। আর ছোট ছোট মেশিন কিন্তু আমাদের এখানেও তৈরি করছি।

তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন কিছু বেড়েছে। কোনও জায়গায় উৎপাদন কিন্তু কমেনি। আমরা সেই কৃষি ক্যালেন্ডার পাল্টে দিয়েছি। এখন সবকিছুই ১২ মাস পাওয়া যাচ্ছে। ওই সিম হওয়ার জন্য শীতকালের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। শোল মাছ দিয়ে লাউ এখন আমরা ১২ মাস খেতে পাচ্ছি।

সরকার কৃষিতে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে বলেও জানান সরকার প্রধান। ভবিষ্যতে সেচকাজে বিদ্যুতের পরিবর্তে সোলার ব্যবহারের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। তিনি বলেন, এটা হলে বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে না। আমরা ধীরে ধীরে সেই পথে যাচ্ছি।