স্বাধীনতা দিবসে লাল-সবুজের আলোয় ঝলমলে ঢাকা

আজ ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবস। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের এই স্বাধীনতা উদযাপন করতে বর্ণিল সাজে সেজেছে রাজধানী। যেদিকে চোখ যায় বহুতল ভবনজুড়ে শুধু লাল-সবুজের ঝিকিমিকি আলো। রক্তের লাল আর শ্যামল-সবুজ বর্ণের আলোকসজ্জা যেন এক উজ্জ্বল পতাকা। আলোকসজ্জায় রঙ্গিন ঢাকা যেন পরিণত হয়েছে একখণ্ড লাল-সবুজের পতাকায়।

বিভিন্ন রঙের ও বর্ণের এসব আলোকসজ্জা রাজধানীতে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। রাতে ঘুরতে বের হওয়া নগরবাসীর মাঝে আনন্দ-উদ্দীপনা কাজ করছে। এমন আলোকিত শহর দেখে মুগ্ধ নগরবাসী।

মতিঝিলের শাপলা চত্বর সেজেছে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, ব্যাংকপাড়া মতিঝিল, পল্টন, দৈনিক বাংলা, পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা, অফিস-আদালত, সরকারি-বেসরকারি ভবন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সন্ধ্যার পরে লাল-সবুজের আলোতে ঝলমল করছে আলোকসজ্জা করা জায়গাগুলো।

লাল-সবুজের আলোয় সেজেছে বাড়িটি

রাজধানীর মনকাড়া এমন আলোকসজ্জা দেখে মুগ্ধ কর্মব্যস্ত মানুষ। অনেকে ঘুরে ঘুরে দেখছেন, আবার অনেকে সুন্দর এ দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দি করছেন। মতিঝিল এলাকায় আলোকসজ্জা দেখে আফতাব হোসেন নামে একজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন, আমাদের রক্তমাখা স্বাধীনতা আমাদের গৌরব। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে যে আলোকসজ্জা করা হয়েছে তা আসলেই মনোমুগ্ধকর। প্রতিদিনই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। আলোকসজ্জার কারণে আজ এই এলাকাটা বেশ সুন্দর লাগছে। তাই দৃশ্যটি মোবাইলে ধারণ করলাম।

শহীদদের স্মরণে লাল-সবুজের রঙে রঙিন ভবন

মতিঝিল শাপলা চত্বরে আলোকসজ্জার সঙ্গে সেলফি তুলছিলেন বেশ কয়েকজন মানুষ। তাদের একজন জুয়েল শিকদার। তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। বিজয় দিবসে তাই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। যেদিকে তাকাই চারদিকে রঙ-বেরঙের আলোকসজ্জা। আজকে ঢাকাকে ওয়াশিংটনের মতো লাগছে।

লাল-সবুজের রঙ ও পতাকায় সেজেছে ভবনটি

গত দুই বছরের তুলনায় এবার রাজধানীতে কিছুটা কম আলোকসজ্জা করা হলেও মানুষের মাঝে স্বাধীনতার আনন্দের কমতি ছিল না। রাজধানীর পল্টন এলাকায় বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে কথা হয় রিদিতা ও নেছার উদ্দিন নামে এক দম্পতি সঙ্গে। তিন বছরের কন্যাসন্তান রাইসাকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন তারা। রিদিতা বলেন, আমার মেয়ে রাইসা এবার তৃতীয়বার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন। আজ রাইসার বাবার অফিস বন্ধ। তাই ঘুরতে বের হয়েছি। চারদিকে এত আলো দেখে আমার মেয়েটা অনেক আনন্দ পাচ্ছে। প্রতিদিনের ব্যস্ত ঢাকাকে লাল-সবুজ আলোতে আজ অন্যরকম লাগছে।