মাঝারি আকৃতির অর্থপাচারের  ১২৫ কেস চিহ্নিত হয়েছে : প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মাঝারি আকৃতির যারা ২০০ কোটি টাকা ও তদুর্ধ্ব কেসের ক্ষেত্রে বিদেশি আইনি সংস্থার মাধ্যমে অর্থ পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের সম্ভাব্য ১২৫টি কেস চিহ্নিত করা হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান। এদিন প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিদেশে পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে গৃহীত পদক্ষেপ ও অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হয়।  

শফিকুল আলম বলেন, এই পর্যন্ত ২০টি আইনি আন্তর্জাতিক সংস্থা ও লিটিগেশন ফান্ডের কাছ থেকে আবেদন পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থা লিটিগেশন ফান্ড নির্বাচনের মানদণ্ড ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কিত গাইডলাইন হচ্ছে। আমাদের কাজগুলো আমরা যত দ্রুত করা যায় করছি। কেউ যে খুব শান্তিতে আছে আমরা তা মনে করি না।   

প্রেস সচিব জানান, আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তার মধ্যে অভ্যন্তরীণ হিসাবে এক লাখ ৩০ হাজার ৭৫৮ দশমিক ৭ কোটি টাকা, বৈদেশিক হিসাবে ১৬৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার সংযুক্ত করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ ফ্রিজিং হয়েছে ৪২ হাজার ৬১৪ দশমিক ২৭ কোটি টাকা, বিদেশে ২০ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ ফ্রিজিং করা হয়েছে।  

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জব্দ করা লুটের টাকায় একটা ম্যানেজেমেন্টের ফান্ড করতে বলেছেন। এই টাকা ডিপোজিট করা হবে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ব্যয় হবে। লুটের টাকার পরিমাণ অনেক। এটিকে বাজেটে বা অন্য কোথাও না এনে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর লুটের টাকা ম্যানেজমেন্ট ফান্ডে ব্যবহার হবে। এই নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টা আজকে দিয়েছেন।