পর্যটনশিল্প বিকাশে ‘দক্ষিণ এশিয়া ব্র্যান্ড’ তৈরির উদ্যোগ

সার্কসার্ক সদস্য দেশের ট্যুর অপারেটরগুলো এ অঞ্চলে পর্যটনশিল্পের বিকাশের জন্য একযোগে ‘দক্ষিণ এশিয়া ব্র্যান্ড’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে দক্ষিণ এশিয়া ট্যুরিজম ফেডারেশন গঠন করা হয়েছে। পাশপাশি সার্কের স্বীকৃতির জন্য আবেদনও করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য একটি ব্র্যান্ডিংয়ের দরকার আছে।
উদাহরণ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ একসঙ্গে পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য কাজ করে। একটি সদস্য দেশ অন্য সদস্য দেশকে সহযোগিতা করে। এ ধারণা থেকে দক্ষিণ এশিয়ার বেসরকারি ট্যুর অপারেটরগুলো একসঙ্গে এ ফেডারেশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য অপরাটেরগুলো সার্কের স্বীকৃতি ও সহায়তায় কাজ করতে চায়। তিনি জানান, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ ফেডারেশন গঠন ও সার্ক স্বীকৃতির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। আশা করা যায়, এ বছর সার্ক বিষয়টি অনুমোদন করবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্যুরিজম ফেডারেশনের প্রধান এইচ এম হাকিম আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত বছর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আটটি দেশের ট্যুর অপারেটর সংস্থাগুলো মিলে এ ফেডারেশন গঠন করেন। পর্যটন শিল্পে ব্র্যান্ডিং তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি এবং আমরা সবাই মিলে একটি দক্ষিণ এশিয়া ব্র্যান্ড তৈরি করতে চাই। সে জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি বলেন, এখানে ’দক্ষিণ এশিয়া অফার’ একটি কার্যকরি পদক্ষেপ। 

আরও পড়তে পারেন: বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ‘দায়িত্ব জ্ঞানহীন’

কোনও ইউরোপিয়ান বা আমেরিকান পর্যটক ভারতে বা শ্রীলঙ্কায় বেড়াতে এলে তাকে বাংলাদেশের সুন্দরবন বা কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। যেন কম খরচে এ অফারের অধীনে একসঙ্গে একাধিক দেশ ঘুরতে পারেন।  এর ফলে এ অঞ্চলে যেমন পর্যটনের প্রসার ঘটবে, তেমনি একইসঙ্গে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, এ জন্য সার্কের সহযোগিতা আমাদের দরকার। আমরা স্বীকৃতি চাই।

আরও পড়তে পারেন:  বিএনপির নতুন কমিটিতে ‘বঞ্চিত’ ঢাকা!

 

হাকিম আলি আরও বলেন, পর্যটন খাত এমন একটি শিল্প, যার জন্য খরচ অত্যন্ত কম। কারণ এর বেশিরভাগ সম্পদ প্রকৃতিপ্রদত্ত। এর সঠিক ব্যবহার ও কার্যকরি মার্কেটিং করা হলে, এর প্রসার সম্ভব।

গত মাসে সার্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ফেডারেশনের স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

/এমএনএইচ/