জানা গেছে, বেসরকারি এনজিও ট্রান্সসেন্ড বাংলাদেশ, এ চাল দেশে আনার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে। কিন্তু সরকার এর স্পর্শকাতর দিক বিবেচনা করে এই আবেদন নাকচ করে দেয়।
যোগাযোগ করা হলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসচিব মোহাম্মাদ শাহ কামাল বলেন, ‘এই এনজিওটি অনুদানের ওই চাল গ্রহণ করে দেশে আনার জন্য আবেদন করেছিল। আমরা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মতামত চেয়ে চিঠি পাঠাই। জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর চরম বিরোধিতা করে এ সংক্রান্ত সব কাজ বন্ধ রাখতে বলে আমাদের। আমাদের সিদ্ধান্ত এনজিওকে জানিয়ে দেই। এরপর গত মাসেই ওই জাহাজ ফেরত পাঠানো হয়।’
আরও পড়তে পারেন:
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, তাইওয়ানের অনুদানের চাল বাংলাদেশে আসার জন্য জাহাজে তোলা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে এ জাহাজকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ট্রান্সসেন্ড বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা চাঁদপুর অঞ্চলে কাজ করি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের মধ্যে এ চাল বিতরণ করার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ‘ওয়ান চায়না’ নীতিতে বিশ্বাস করে এবং ভবিষ্যতেও এই নীতি অনুসরণ করা হবে। তিনি জানান আমাদের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ছে এবং আমরা আশা করছি চীন থেকে ভিআইপি পর্যায়ের একটি সফর এ বছরে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়তে পারেন:
এর আগে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনে দ্বিপক্ষীয় সফর করেন। চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। সরকার সামরিক সরঞ্জামের একটি বড় অংশ চীন থেকে সংগ্রহ করে। এছাড়া, বাংলাদেশের বিভিন্ন বড় প্রকল্প যেমন পদ্মা ব্রিজ এবং চার-লেন চিটাগাং হাইওয়ে চীনের সহায়তায় তৈরি হচ্ছে।
/এমএনএইচ/