‘শফিক রেহমানকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে’

মাহবুবউল আলম হানিফহত্যার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেন, শফিক রেহমানকে কোনও লেখার জন্য গ্রেফতার করা হয়নি। তিনি গত ১০ বছর কোথাও সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এমন তথ্যও আমাদের কাছে নেই। তাকে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র জয়কে অপহরণ ও হত্যা  ষড়যন্ত্রের যড়যন্ত্রকারী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।যদি কেউ কাউকে খুনের ষড়যন্ত্রে যুক্ত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না?
শনিবার দুপুরে রাজধানীর শওকত ওসমান মিলনায়তনে ঢাকা মিডিয়া ক্লাব লিমিটেড আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দক্ষিণ ও উত্তরের নবনির্বাচিত দুই সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান ও শাহে আলম মুরাদকে সংবর্ধনা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হানিফ বলেন, মাহমুদুর রহমান কোনও দিন সাংবাদিক ছিলেন না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে তিনি একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর তিনি ‘আমার দেশে’ বসে ষড়যন্ত্র শুরু করলেন।
তিনি বলেন, তিনি ‘আমার দেশে’ বসে সারা ঢাকাকে অচল করে দিতে হেফাজতের সঙ্গে ৮০ কোটি টাকা লেনদেন করেছিলেন। তিনি মানুষ হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন।
হানিফ বলেন, কিন্তু তাদের ধরা যাবে না? সাংবাদিক হলে কি তিনি আইনের উর্ধ্বে? যারা তাদের জন্য মায়াকান্না করছেন তাদের অনুরোধ করবো, ষড়যন্ত্রকারী, হত্যা, খুনের চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তাহলে জনগণের কাছে বার্তা যাবে যে, কেউ চক্রান্তকারীদের সঙ্গে নেই। কিন্তু তাদের পক্ষ নেবেন, এটি জাতি চায় না।

আরও পড়ুন- বিএনপি ও শফিক রেহমানযুক্তরাষ্ট্রের মামলায় কোথাও শফিক রেহমানের নাম নেই: বিএনপি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মাথাপিছু আয় আগে ছিল ৮শ’,আমরা ক্ষমতায় আসার পর হয়েছে ১৪শ’। এটি কোনও ম্যাজিক নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কলহ বন্ধ করে দলটাকে শক্তিশালী করুন। অনেক বড় দল, অনেক মতভেদ থাকবে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক হয়ে কাজ করলে বাংলাদেশ সক্ষমতায় বিশ্বের শীর্ষ থাকবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, বিএনপিচক্র আজ শেখ হাসিনার পুত্রকে অপহরণ করে খুন করতে চায়। আমরা বলে দিতে চাই, যদি এমন চক্রান্ত করতে চান, তাহলে ঢাকা মহানগরে বিএনপির কোনও নেতাকর্মী বাসায় থাকতে পারবেন না। কারণ রক্তের জবাব রক্তের মাধ্যমেই দেওয়া হবে।

পিএইচসি/এপিএইচ/