শিম্পাঞ্জিকে ভালোবেসে নিষিদ্ধ হলেন চিড়িয়াখানায়

বেলজিয়ামের নারী অ্যাডি। প্রায় প্রতিদিনই বলতে গেলে ঢুঁ মারতেন বাড়ির কাছের অ্যান্টওয়েরপ চিড়িয়াখানায়। সেখানে একটি শিম্পাঞ্জির খাঁচার সামনে গিয়ে দাঁড়ানোই ছিল তার কাজ। চিতা নামের ৩৮ বছর বয়সী একটি শিম্পাঞ্জির সঙ্গে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। আর সেই বন্ধুত্ব মাত্রা ছাড়াতেই মূল্য দিতে হলো অ্যাডিকে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাকে নিষিদ্ধ করেছে অ্যান্টওয়েরপ চিড়িয়াখানায়।

অ্যাডির সঙ্গে বন্ধুত্ব আরেকটু গভীর হতেই চিতার মধ্যে দেখা যায় পরিবর্তন। অ্যাডি যতক্ষণ পাশে থাকে ততক্ষণ উৎফুল্ল থাকে ও। অ্যাডি চলে গেলেই মুষড়ে পড়ে। কারও সঙ্গে বিশেষ কথাও বলে না। অন্য শিম্পাঞ্জিরাও চিতাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করলো।

শিম্পাঞ্জির প্রতি ভালোবাসা

বিষয়টা চোখ এড়ায়নি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। প্রথম দিকে তারা খুশিই ছিলেন। কিন্তু অ্যাডির সঙ্গে চিতার সম্পর্ক এমন পর্যায়ে চলে গেলো যে চিতাকে তার স্বজাতিরা করে দিলো সমাজচ্যুত! এতে চিতার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ পড়ে গেলো শঙ্কায়। এ কারণেই অ্যাডির প্রতি কঠোর হতে বাধ্য হলেন তারা।

চিতার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও নিষেধাজ্ঞা মানতে নারাজ অ্যাডি। ‘আমি প্রাণীটাকে ভালোবাসি। সেও আমাকে পছন্দ করে। আমাদের মাঝে আর কিছু নেই। তারা কেন এটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে চায়। সংবাদকর্মীদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, বাকি সবাই তাকে দেখতে যেতে পারলে আমি কেন পারবো না!’