সবচেয়ে বয়স্ক পাখি

নাম তার উইসডম। নামের মতোই যেন কত যুগের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে ও। ১৯৫৬ সালে যখন তার পায়ে রিং পরানো হলো তখন কেউ ভাবেনি, উইসডম নামের অ্যালবাট্রসটাই হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী বুনো পাখি।

উইসডমের বয়স এখন ৭০ বছর। মার্কিন নৌঘাঁটিতে পাখিটাকে যিনি আবিষ্কার করেছিলেন, সেই গবেষক এখন বেঁচে নেই। অথচ ৭০ বছরেও উইসডম ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটিয়ে চলেছে।

খাঁচার পাখির মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয়ু পেতে দেখা গেছে কাকাতুয়াকে। একশ বছরও বাঁচে ওরা। কিন্তু বুনো পরিবেশে এর অর্ধেক সময়ও বেঁচে থাকা কঠিন। অবশ্য চলাফেরার পথে তেমন কোনও বাধা না থাকাতেই অবলীলায় উড়ে বেড়াচ্ছে উইসডম।

৬৬ বছর বয়সে ডিমে তা দেওয়া অবস্থায় ক্যামেরাবন্দি উইসডম

‘প্রতিবছরই যখন উইসডম নামের অ্যালবাট্রসটি তার ডেরায় ফিরে আসে, আমরা সামুদ্রিক পাখির আয়ু ও জীবনাচার সম্পর্কে নতুন কিছু জানতে পারি।’ এমনটা জানালেন ইউএস ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিসের গবেষক বেথ ফ্লিন্ট।

গত দশ বছর ধরেই গবেষকদের ভাবিয়ে তুলেছে উইসডম। বয়স বাড়লেও এখনও সে খাবারের সন্ধানে উড়ে যায় হাজার মাইল। আবার ততটা পথ উড়ে ফিরে আসে ছানাদের খাবার দিতে।

মার্কিন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ জন ক্লাভিটার জানালেন, ‘আমার মনে হয় বেশ কয়েক বছরের চেষ্টায় উইসডম এখন জানে কী করে শিকারি প্রাণীদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে হয়। আর জিনিসপত্র সংগ্রহ বা খাবার বাছাই করাও শিখে গেছে। বিশেষ করে সে জানে কী করে এখনকার প্লাস্টিক দূষণ ও মাছ ধরার জাহাজের বর্জ্যগুলো এড়িয়ে চলতে হয়।’

অ্যালবাট্রস কয়েক বছর পর পর মাত্র একটি করে ডিম পাড়ে। উইসডমের কাছাকাছি থাকা গবেষকদের মতে, এ পর্যন্ত পাখিটা ৩০-৩৬টার মতো ছানা ফুটিয়েছে।

 

সূত্র: উইকিপিডিয়া ও এনপিআর ডটঅর্গ