টানা ৬০ ঘণ্টা

একনাগাড়ে আর কতক্ষণ শুয়ে থাকা যায়। তাও আবার খোলা আকাশের নিচে। সঙ্গী-সাথী অবশ্য ছিল। তা না হলে ৬০ ঘণ্টা শুয়ে থাকার রেকর্ড করাটা কঠিনই হতো মন্টিনিগ্রোর বাসিন্দা জারকো পেজানোভিকের জন্য। 

প্রতিযোগী মোট ৯ জন। শর্তটা হলো একটা মোটাসোটা গাছের গোড়ায় বিছানা পেতে শুয়ে থাকতে হবে। যিনি সবার শেষে উঠবেন, তিনিই বিজয়ী।

গত ১২ বছর ধরেই আজগুবী এ প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে মন্টিনিগ্রোর ব্রেজনা শহরে। দেশটির স্থানীয় পত্রিকা দানাস ডট আরএস এ খবর জানায়।

সবার আগে প্রশ্ন উঠবে, শুয়ে থাকার সময় প্রকৃতি ডেকে বসলে কী করবেন প্রতিযোগীরা? এ কারণে নিয়ম করা হয়েছে প্রতি আট ঘণ্টা পর একবার টয়লেটে যাওয়ার অনুমতি মিলবে। 

এর আগে দুবরবকা নামের এক নারী প্রতিযোগী টানা ১১৭ ঘণ্টা শুয়ে থেকে রেকর্ড গড়েছিলেন। সেই হিসাবে বলা যায় এবারের বিজয়ী জারকোকে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি।

জারকোর সঙ্গে বাকিরা একে একে যখন উঠতে শুরু করে তখনও থেকে যান একজন। তিনি আবার জারকোকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, একসঙ্গে দুজনেই উঠে গিয়ে পুরস্কারের টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে যাওয়া যাক। কিন্তু ততক্ষণে বিজয়ী বেশে সাড়ে তিনশ ডলার নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পণ করে বসে আছেন জারকো।

এর আগে এ প্রতিযোগিতার নিয়ম ছিল আরও কড়া। তখন টয়লেটের যাওয়ার অনুমতিটাও ছিল না। ওই কঠিন শর্ত মেনেই এক প্রতিযোগী ৫২ ঘণ্টা টানা শুয়ে থাকার রেকর্ড গড়েছিলেন!