আরাফাত সানির আইনজীবী মো. জুয়েল আহমেদ জানান, দুপক্ষের মধ্যে আপোস হওয়ায় বিচারক তার এক মাসের অন্তর্বতীকালীন জামিন দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ১০ এপ্রিল তাকে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছেন।
এ মামলার বাদীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জামিন শুনানির একপর্যায়ে আদালত বাদীর কাছে জানতে চান আপনাদের মধ্যে কোনও আপোস হয়েছে কিনা?
উত্তরে বাদী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আপোস হয়ে গেছে।’
পরে আরাফাতের মামা রমিজ উদ্দীনও আদালতে তাদের মধ্যে আপোসের কথা জানান।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুকের মামলা করেন এক তরুণী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় এক তরুণীর দায়ের করা জিডিকে গত ৫ জানুয়ারি তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ। এরপর ২২ জানুয়ারি আরাফাত সানিকে তার আমিনবাজার এলাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে সানির বিরুদ্ধে যৌতুক চেয়ে মারধরের অভিযোগে আরও একটি মামলা করেন ওই তরুণী। তবে ক্রিকেটার আরাফাত সানি বরাবরই বিয়ে ও ওই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করে আসছেন।
মামলায় ওই তরুণী দাবি করেন, সাত বছর আগে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর উভয়ের পরিবারকে অবহিত না করেই সানির সঙ্গে তিনি গোপনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু, বিয়ের পরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ বাড়িতে তুলে না নিয়ে আরাফাত সানি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এমনকি তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব দিলেও সানি তাতে কান দেননি। এরপর গত ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে সানি তার নাম ব্যবহার করে নিজের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং ওই আইডি দিয়ে তরুণীর নিজস্ব অ্যাকাউন্টে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি ও একক ছবি ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে তাকে নানা রকম হুমকি দিতে থাকেন। এরপর তার ফেসবুক আইডিতে নগ্ন ছবি পাঠিয়ে তাকে আরও উত্ত্যক্ত করতে থাকেন সানি এবং তাকে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুমকি দিতে থাকেন। এছাড়াও তার কাছে যৌতুক চেয়ে তাকে মারধর করেন আরাফাত সানি।
/এসআইটি/বিএল/
এ সংক্রান্ত আগের খবর: