নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানাটিতে বুধবার (২৯ মার্চ) শুরু করে বৃহস্পতিবার দুপুরে এসে অভিযান পরিচালনা শেষ করেছে সোয়াট। বৃহস্পতিবার বিকালে সিটিটিসি আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘাঁটি সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণা ছিল না। যেটি ধরে আমরা কাজ করেছি তা ঘেরাও করে রাখা আছে, এখনও সেখানে অভিযান শুরু হয়নি। তবে এটা নিশ্চিত, এখানে যারা নিহত হয়েছে তারা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য এবং তারা এখানে আত্মগোপন করেছিল।’
এ অঞ্চলে আর কোনও আস্তানার তথ্য পুলিশের কাছে আছে কিনা জানতে চাইলে সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনই কোনও তথ্য নেই। তবে এখানে আত্মগোপনে থাকা জঙ্গিরা কোনোভাবেই স্থানীয় নয়। আমরা আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তারা কারও সঙ্গে মিশতো না। এমনকি কেউ তাদের চেনেও না। তারা সারাদিন ঘরে থাকতো, চাকরি করতো না। তাদের বাচ্চারাও স্কুলে যায়নি। তাদের কেউ কখনও দেখেনি।’
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘গতকাল সোয়াট প্রথম অভিযান শুরু করলে পালানোর পথ নেই দেখে সম্ভবত সপরিবারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহনন করেছে। এটা এক বীভৎস চিত্র। ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাস্থলে ৭-৮টি মৃতদেহ থাকতে পারে। নিহতদের মধ্যে পুরুষ ও মহিলার সংখ্যা বলা যাচ্ছে না, কারণ শরীরগুলো ছিন্নভিন্ন হয়েছে।’
/ইউআই/জেএইচ/