বাড়ছে সিজারিয়ান শিশু

‘ন্যাশনাল লো বার্থ ওয়েট সার্ভে-২০১৫’ অবহিতকরণ সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ অন্যান্যরা

দেশে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার দিনকে দিন বাড়ছে। গত ১২ বছরে এই হার ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। অপরদিকে, একই সময়ে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শিশু জন্মের হার ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।

বুধবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ন্যাশনাল লো বার্থ ওয়েট সার্ভে-২০১৫’ অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জরিপ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সভায় বলা হয়, ২০০৩-০৪ সালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০১৫-১৬ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৫ শতাংশ। একই সময়ে স্বাভাবিকভাবে শিশু জন্মের হার ৯৬ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমে ৬২ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

দেশে কম ওজনের শিশু জন্মের হার হ্রাস পাওয়ায় সভায় স্বস্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, ২০০৩-০৪ সালের জরিপে কম ওজনের শিশু জন্মের হার ছিল ৩৬ শতাংশ, যা গত এক যুগে হ্রাস পেয়ে ২২ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সিজারিয়ানের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বেসরকারি ক্লিনিকগুলোর বাণিজ্যিক মানসিকতার কারণেই এ প্রবণতা বাড়ছে।’ এক্ষেত্রে তিনি মায়েদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘সিজারে হয়তো মায়ের কষ্ট কম হয়। কিন্তু এই প্রক্রিয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান জন্মদানে মায়েদের উৎসাহিত করতে হবে।’

স্বাস্থ্যসচিব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা রাখেন অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদের, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের (আইপিএইচএন) পরিচালক ডা. মুজাহারুল ইসলামসহ অনেকে।

/জেএ/এমএ/