রবিবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রামের দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় দেশের সব কওমি মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক গঠিত মান বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে গণভবনে হেফাজতে ইসলামের আমির ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ প্রায় ৩শ আলেমের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৩ এপ্রিল কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে ইসলামিক স্টাডিজ এবং আরবিতে মাস্টার্সের সমমান ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে। প্রকাশিত গেজেটে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি ও হেফাজতের আমির আহমদ শফীকে চেয়ারম্যান করে ১৫ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
রবিবার হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেফাক থেকে ছয় জন এবং অন্য পাঁচ বোর্ড থেকে একজন করে মোট ১১ সদস্যের একটি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটি গঠন করা হয়। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে মনোনীত করা হয় গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মাওলানা শামসুল হককে। এই কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার থেকে কোনও ধরনের আর্থিক সহযোগিতা বা সুবিধা গ্রহণ করবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ, গোপালগঞ্জের বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা, চট্টগ্রামের আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়া, সিলেটের আযাদ দ্বীনি এদারা বোর্ড, উত্তরবঙ্গের তানজিমুল মাদারিসিল কওমিয়া এবং জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নিবন্ধিত মাদ্রসাগুলোর শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। যে মাদ্রাসা যে বোর্ডের অধীনে নিবন্ধিত, এ বছর সেই বোর্ডের অধীনেই থাকতে হবে, অন্য বোর্ডে যেতে পারবে না বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মুফতি ওয়াক্কাস, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মুফতি রূহুল আমীন, মুফতি আরশাদ রাহমানী, মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুফতি ফয়জুল্লাহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন-
সিটিং সার্ভিস বন্ধে দুর্ভোগে নারীরা
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে রাস্তায় নেই গাড়ি!
/সিএ/টিআর/