রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাফফর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তাসলিমা খাতুনের স্বামীর নাম সুজন মিয়া। ৮-১০ দিন আগে তারা মধুবাগে বাসা ভাড়া নেন। গতকাল বাইরে থেকে ঘরে তালা লাগিয়ে বের হয়ে যান সুজন মিয়া। আজ (শনিবার)বিকালে পুলিশ খবর পেয়ে মধুবাগের ৩৫৭/১২, এ/ডি নম্বর বাসায় দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে তাসলিমার লাশ উদ্ধার করে।’
এসআই মোজাফফর জানান, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তাসলিমার স্বামী সুজন মিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য তাসলিমার লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
রমনা থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, তারা দু’জনই একটি গার্মেন্ট কারখানায় কাজ করতেন। তাসলিমার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ ও সুজনের বাড়ি গাইবান্ধার মহেশপুরে।’
বাংলা ট্রিবিউনের সিলেট প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার বড়ইকান্দি এলাকার গেদা মিয়া কলোনি থেকে সুজন মিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সুজন আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
/আরজে/টিআর/ এপিএইচ/
আরও পড়ুন: জঙ্গিদের ল্যাবরেটরি ও স্টোরহাউজ