বিএসএমএমইউয়ের এই চিকিৎসক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আইবিডি রোগের কারণে মুখ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত যেকোনও জায়গায় খাদ্যনালীতে ঘা হতে পারে। এর ফলে খাদ্যনালী চিকন হয়ে যায় এবং পেট ফুলে যায়।’ অনেক সময় এ কারণে সার্জারিও করতে হয় বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (১৯ মে) ছিল ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ ডে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ইউনাইটেড উই স্ট্যান্ড’। এ উপলক্ষে শনিবার (২০ মে) ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়।
অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, ‘এ রোগে প্রতিটি রোগীর উপসর্গে কিছু ভিন্নতা থাকে এবং রোগের মাত্রা বা তীব্রতা সব রোগীর একরকম নয়। ফলে রোগ নিয়ন্ত্রণে উপসর্গের উপশমের জন্য বিভিন্ন ওষুধের সমন্বয়ে চিকিৎসা করা হয়। রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ওষুধের মাত্রা ও প্রকার বাড়ানো ও কমানো হয়।’
এই রোগে ব্যবহৃত প্রতিটি ওষুধের কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে জানিয়ে ডা. কামরুল বলেন, ‘এ রোগে আক্রান্তদের সবসময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম রেখে বা দূরে রেখে রোগকে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হয়। তবে রোগের তীব্র অবস্থা দমনের জন্য প্রাথমিক ওষুধ প্রয়োগের সময় কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেনে নিতে হয়। তা না হলে রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না। তাই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে রোগের প্রকৃত অবস্থা নিরূপণ করে সময় সময় ওষুধের প্রকার ও মাত্রা নির্ধারণ করতে হয়।’ এতে চিকিৎসার ব্যয় বেড়ে গেলেও সুস্থ থাকতে হলে এর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন এই চিকিৎসক।
ডা. কামরুল আরও বলেন, ‘আরেকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো— এ দু’টো রোগে পরিপাকতন্ত্র ও এর বাইরে বিভিন্ন ধরনের আকস্মিক জটিলতা হতে পারে। তার জন্য জরুরি চিকিৎসারও প্রয়োজন হতে পারে।’
আরও পড়ুন-
ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত ম্যাটস শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা: মঙ্গলবার সারাদেশে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের ঘোষণা বিএমএ’র
/জেএ/টিআর/