বধিরতায় ভুগছেন দেশের ১৬ লাখ মানুষ

পঞ্চম ককলিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানদেশে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ মারাত্মক ধরনের বধিরতায় ভুগছেন। এদের সবাই ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টের সম্ভাব্য প্রার্থী। এছাড়া, বিশ্বজুড়ে প্রতি এক হাজারে দুই জন শিশু বধিরতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। সে হিসাবে বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৬শ শিশু বধিরতা নিয়ে জম্মায় এবং প্রায় সমসংখ্যক জনগোষ্ঠী শ্রবণ শক্তি নিয়ে জম্মালেও কোনও না কোনও সময়ে বধিরে পরিণত হয়।
শনিবার (২০ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দুই দিনব্যাপী পঞ্চম ককলিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারি বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা জানানো হয়।
কর্মশালায় বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, ‘বিএসএমএমইউতে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি কর্মসূচিতে দরিদ্র পরিবারের শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়েছে।’
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কর্মসূচি পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার বলেন, ‘বধিরতা বাংলাদেশে একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে বাংলাদেশে বধিরতার হার শতকরা নয় দশমিক ছয় ভাগ। মারাত্মক বধিরতা অথবা সম্পূর্ণ বধিরতার (যেখানে হিয়ারিং এইড ব্যবহার করেও কানে শোনা সম্ভব হয় না) ক্ষেত্রেও ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট অত্যন্ত উপযোগী ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে এটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অন্তঃকর্ণে স্থাপন করতে হয়।’
কর্মশালায় চিকিৎসক, অডিওলজিস্ট ও স্পিচ থেরাপিস্টসহ ৮০ জন অংশ নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউয়ে এ পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫২ জনের ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ সেবা পেয়েছেন ১২৮ জন। বাকি ২৪ জন নিজ খরচে ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস লাগিয়ে নিয়েছেন। সার্জারি করা সবাই এখন কথা বলতে ও শুনতে পারছেন।
জানা গেছে, ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে কেবল ডিভাইসের মূল্যই ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। বিদেশে ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারিতে খরচ হয় ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা। তবে বিএসএমএমইউ থেকে অনেক রোগীকেই এই চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এর আগে ১৪০ জনকে বিনামূল্যে এই চিকিৎসা দেওয়ার পর আগামী জুন মাসের মধ্যেই আরও ৫০ জনকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বরাদ্দ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিস্টরা। এছাড়া, আরও ১৮ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।

আরও পড়ুন-

নিরাময়যোগ্য না হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ

শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় মামলা: মঙ্গলবার সারাদেশে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের ঘোষণা বিএমএ’র

/জেএ/টিআর/