চিকনগুনিয়া বিস্তার রোধে ঢাকা দক্ষিণে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু

বিএসএমএমইউতে ঢাকা দক্ষিণের মশক নিধনের ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করছেন মেয়রচিকনগুনিয়া রোগের বিস্তার রোধে মশা নিধনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেছেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। রবিবার (২১ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উদ্বোধন করা হয় এই মশক নিধন কর্মসূচি। এসময় ডিএসসিসি’র সব ওয়ার্ডে এই ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরুর কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ ধরে এই ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলবে। প্রয়োজনে এই প্রোগ্রাম অব্যাহত রাখা হবে।’
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘সারাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ চিকনগুনিয়ার রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কোনও রোগীই মারা যাননি। যারা এ রোগে আক্রান্ত হবেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ নেবেন। এ রোগে আক্রান্ত হলে প্যারাসিটামল খেলেই চলে বলে জেনেছি চিকিৎসকদের কাছে।’
পরে বিএসএমএমইউ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘চিকুনগুনিয়া: শুড উই ওরি’ শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারকে সময়োপযোগী উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘এই সেমিনার চিকুনগুনিয়া বিষয়ে ডিএসসিসি’র কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি চিকুনগুনিয়া বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে গণমাধ্যমকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন মেয়র সাঈদ খোকন‘চিকুনগুনিয়া: শুড উই ওরি’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। তিনি সেমিনারে বলেন, ‘চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এটি মশাবাহিত রোগ হওয়ায় এ রোগের বিস্তার রোধে মশা নিধন করতে হবে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের রোগ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল। এতে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ, বিএসএমএমইউ ইন্টার্নাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আবদুর রহিম, রিউমাটোলজি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. চৌধুরী আলী কাওসার প্রমুখ।

আরও পড়ুন-

বিএসএমএমইউ’র ১৪০ চিকিৎসকের চাকরি বহাল

‘চিকিৎসকদের গায়ে যারা হাত তুলেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে’

/জেএ/টিআর/