‘ষোড়শ সংশোধনী সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’

 

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টষোড়শ সংশোধনী সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মতামত দিয়েছেন সাবেক বিচারপতি এবং সিনিয়র আইনজীবী টিএইচ খান। বৃহস্পতিবার ষোড়শ সংশোধনী বিষয়ে শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মতামত উপস্থাপনের সময় আদালতকে একথা বলেন তিনি। সকালে আপিল বিভাগে মতামত উপস্থাপনের পর তার ছেলে আফজাল এইচ খান সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দিয়ে সংবিধানে আনা  ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানি সপ্তম দিনের মতো চলছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ অ্যামিকাস কিউরিদের বক্তব্য শুনছেন।
টিএইচ খান আদালতকে আরও বলেন, ‘অনেকে অনেক কথা বলবে, কিন্তু আপনাদের উচিত জুডিশিয়ারি রক্ষা করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর সমাধান না করে সরকার চলে গেছে ষোড়শ সংশোধনীতে ।’
এছাড়া সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে কীভাবে বিচারপতি অপসারণ করা হবে, এমন প্রশ্ন রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার অ্যামিকাস কিউরি ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদের মতামত উপস্থাপনের সময় এমন প্রশ্ন তোলেন।

আদালত বলেন, এখন না হয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু কোনও সময় যদি না থাকে, যদি ‘হ্যাঙ্গিং পার্লামেন্ট’ হয় তাহলে কী হবে? কীভাবে অপসারণ করা হবে? তখনতো একটা ভেকুয়াম (শুন্যতা) সৃষ্টি হবে।

গতবছর ৫মে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, ‘বলতে দ্বিধা নেই, ষোড়শ সংশোধনী একটি কালারেবল লেজিসলেশন (কোনও কাজ সংবিধানের মধ্যে থেকে করার সুযোগ না থাকলে আইনসভা যখন ছদ্ম আবরণে ভিন্ন প্রয়োজনের যুক্তি দেখিয়ে একটি আইন তৈরি করে), যা রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ নীতির লঙ্ঘন। এটা সংবিধানের দুটি মূল কাঠামো ৯৪(৪) ও ১৪৭(২) অনুচ্ছেদেরও লঙ্ঘন। একইসঙ্গে সংবিধানের ৭(বি) অনুচ্ছেদকেও আঘাত করে।’

/এমটি/ইউআই  /এপিএইচ/

আরও পড়ুন: 

‘হ্যাঙ্গিং পার্লামেন্টে’ কীভাবে বিচারপতি অপসারণ হবে: প্রধান বিচারপতি