ঢাকার কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট বরাবর রাজস্ব ফাঁকির এ মামলা করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে জানতে পেরে শুল্ক গোয়েন্দার একটি দল আইডিয়াল পলিমার এক্সপোর্ট লিমিটেডের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত দলিলাদি যাচাই-বাছাই করে। দলিল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমদানি করা কাঁচামাল দিয়ে পণ্য উৎপাদন করে রফতানি না করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।
আরও জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন রফতানিকারকের কাছ থেকে ইউটিলাইজেশন পারমিট (ইউপি) গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে ১৫৯টি ইউপিতে উল্লিখিত কাঁচামাল/পণ্য/এক্সেসরিজ স্থানীয় একটি মাছ প্রক্রিয়াজাত কারখানায় বিক্রি করে দিয়েছে। ১৮টি ইউপি অন্তর্ভূক্ত ৪০টি এলসির মাধ্যমে এক্সেসরিজ সরবরাহ করেছে। এগুলো নিয়মবহির্ভূতভাবে স্থানীয় মুদ্রায় (টাকা) স্থাপিত এলসি-র মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। ফলে রফতানির জন্য বন্ড লাইসেন্স দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সরকারি উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে।
অনিয়ম করে আনা কাঁচামালের মোট শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ১৬ কোটি টাকা এবং ফাঁকি দেওয়া শুল্কের পরিমাণ ৭ কোটি টাকা।
/এআরআর/এসএনএইচ/