প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বুয়েট

গত ২১ মে বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত ‘আইন নেই, তবু নতুন পে-স্কেলে পেনশন দাবি বুয়েটের প্রবীণ শিক্ষকদের’ সংবাদটির প্রতিবাদ পাঠিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষক সমিতি।

শিক্ষক সমিতি তাদের প্রতিবাদ লিপিতে বলেছেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চাকুরিরত থাকতে পারেন এবং তারা নতুন পে-স্কেলে বেতন এবং পেনশন প্রাপ্ত হবেন’। উক্ত প্রতিবেদনে ‘ক্লাস-পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনও প্রশাসনিক কাজে (এসব শিক্ষক) সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না’ এই লাইনটি নিয়েও আপত্তি তুলেছে সংগঠনটি।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

২০১০ সালের ১২ জুলাইয়ের আগেরদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬০ বছরের পর অতিরিক্ত মেয়াদে কর্মরত সব শিক্ষকের চাকরি ধারাবাহিক ও নিয়মিত চাকরি নয়। এই সময়ের চাকরি কেবলমাত্রই বর্ধিত মেয়াদ বলেই উল্লেখ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে। বর্ধিত মেয়াদের শিক্ষকরা প্রশাসনিক কাজে যুক্ত থাকতে পারেন না।এছাড়া জাতীয় সংসদে ২০১২ সালের ১০ জুলাইয়ে বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকুরির বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর পর্যন্ত নিয়মিত করা হয়। ওই আইনে এও বলা হয়, ৬০ বছর বয়সে অবসর নেওয়া কোনও শিক্ষক নতুনভাবে আসা পরের কোনও সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত হবেন না। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও বুয়েটকে এই সংক্রান্ত একটি চিঠিতেও একই বক্তব্য দিয়েছেন।

এছাড়া উক্ত প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য উল্লেখ রয়েছে।

/আরএআর/টিএন/