রাজধানীতে বাইক রেস ও আতশবাজি: কঠোর অবস্থানে পুলিশ

আতশবাজিঈদের ছুটিতে ঢাকা মহানগরে সড়কগুলোতে নিরাপদে যানচলাচল নিশ্চিত করতে বেপরোয়া যানবাহনের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়াও নগরীতে আতশবাজি ও পটকা নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ।
প্রতি বছর ঈদের চাঁদ দেখার পর রাজধানীর ফাঁকা রাস্তায় তরুণ ও কিশোররা মিলে আতশবাজি ও পটকা ফুটায়। এমনকি দলবেঁধে মহানগরীর ফাঁকা সড়কে বাইক রেসে মেতে ওঠে। পুলিশ এ থেকে বিরত থাকার জন্য আগে থেকেই সবাইকে সতর্ক করেছে। গতির এই ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা মাঝেমধ্যেই হয়ে ওঠে প্রাণঘাতী। ফাঁকা সড়কে কেড়ে নিতে পারে পথচারী বা খোদ আরোহীর জীবন।

তরুণদের ভাষায়, এগুলো আনন্দের বিহঃপ্রকাশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোমাঞ্চকর কোনও কিছুর প্রতি আকর্ষণ তারুণ্যের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। তাই তাদের কেউ কেউ রেসের মতো ঝুঁকিপূর্ণ খেলা থেকে আনন্দ পেতে চায়। ঈদে বাড়তি আনন্দ পেতেই অনেক সময় পরিবারের অবাধ্য হয়েও এটি করে থাকে তারা। তাদের বোঝাতে হবে, আনন্দের বিকল্প অনেক উৎস আছে। তা ছাড়া রেস তার নিজের জন্যও ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনতে পারে।

ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ঢাকা মহানগরীর শতাধিক পয়েন্টে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে। ঈদ উপলক্ষে থানও পুলিশও সড়কে টহলে রয়েছে। কেউ কেউ বেপরোয়া গাড়ি চালালে তাদের বিরুদ্ধে আইনআনুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে রাজধানী থেকে বের হওয়ার পথগুলোসহ বিভিন্ন জায়গা ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। এমনকি সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ারও স্থাপন করা হয়েছে। এসব ওয়াচ টাওয়ার থেকে দেখা হবে ট্রাফিক ব্যবস্থা।

এদিকে, আতশবাজি ও পকটা ফুটানোর বিষয়ে পুলিশ সতর্ক করেছে। ইতোমধ্যে পুরান ঢাকায় আতশবাজিসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোতয়ালী থানা পুলিশ নয়ন রায় (২৮) নামে একজনকে ১০২০টি আতশবাজিসহ গ্রেফতার করেছে।

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশে প্রতিটি চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশকে সহযোগিতা করুন। মুসল্লিরা জায়নামাজ ছাড়া কোনও ধরনের ভ্যানিটি ব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, অস্ত্র, ছুরি, চাকু, কাচি, গোলাবারুদ ও দার্হ্য পদার্থ সঙ্গে নিয়ে আসবেন না। জায়নামাজ ও ছাতা চেকপোস্টে পুলিশের কাছে খুলে দেখাবেন। ঈদগাহের আধা কিলোমিটারের মধ্যে কোনও মোটরসাইকেল ও গাড়ি আনা যাবে না। মোটরসাইকেল ও গাড়ি ট্রাফিক নির্ধারিত স্থানে পার্কিং করতে হবে।’

ঈদের জামাত শেষে সবাই একসঙ্গে তাড়াহুড়ো করে বের না হয়ে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ধীরে সুস্থে সু-শৃঙ্খলভাবে ঈদগাহ থেকে বের হবেন। যেকোনও প্রয়োজনে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।

/এসএমএ/