ঢামেকের বার্ন ইউনিটে মুক্তামনি

ঢামেকে চিকিৎসাধীন বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনিবিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার ১১ বছরের মেয়ে মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে তাকে ভর্তি করা হয়।  মুক্তার চিকিৎসার জন্য ৮ সদস্যের একটি মেডিক্যাল টিম বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মেয়েটি (মুক্তামনি) মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছে। পরে সকাল ৯টার দিকে তাকে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ভর্তি করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজই আমি এবং বার্ন ইউনিটের বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ প্রাথমিকভাবে তাকে দেখেছি। মেয়েটির রক্তশূন্যতা, অপুষ্টিসহ নানা রোগে ভুগছে। তাকে অপারেশনের জন্যে ফিট করতেই আগামী দুই-তিন সপ্তাহ সময় লাগবে।’ ঢামেকে চিকিৎসাধীন বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনি
মুক্তামনির সঙ্গে থাকা তার চাচা আহসান হাবিব বলেন, ‘সকালে ডাক্তাররা মুক্তামনিকে দেখে গেছে। এখন আপাতত আমরা কেবিনে আছি। চিকিৎসকরা আবার দেখবেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন।’
সম্প্রতি ‘মুক্তামনির কী অসুখ জানেন না চিকিৎসকরাও!’ এই শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনে খবর প্রকাশের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। এরপর তোলপাড় সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। এমন সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই এগিয়ে এসেছেন, হাত বাড়িয়েছেন মুক্তার চিকিৎসায়। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ মুক্তার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নেন।Muktamoni 3
পরে সোমবার (১০ জুলাই) বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশনায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাড়িতে গিয়ে মুক্তাকে নিয়ে আসে। রাতে হাসপাতালে মুক্তামনিকে দেখতে যান সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। পরে রাত ১১ টার দিকে মুক্তাকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।
/জেএ/এআর/