বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ: বঞ্চিত নিবন্ধিতদের অনশন

নিবন্ধিতদের নিয়োগের দাবিতে অনশনবেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারী প্রথম থেকে ১২তম ব্যাচের নিয়োগ বঞ্চিত প্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টার থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অনশন কর্মসূচিতে নিয়োগ প্রার্থীরা বলেন, ‘প্রথম থেকে ১২তম ব্যাচের নিবন্ধিতদের সবাইকে নিয়োগ না দিয়ে আবারও ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। টাকার বিনিময়ে এ পর্যন্ত ৬০ হাজার জাল সনদধারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের বৈধ সনদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ দিচ্ছে না এনটিআরসিএ।’

‘সনদধারীরা বলেন, ‘অর্থ, সময় ও মেধার বিনিময়ে অর্জিত এ নিবন্ধন সনদ যদি আমাদের চাকরির নিশ্চয়তা না দেয়, তাহলে কি শুধু নিবন্ধন সনদ দেওয়াই এনটিআরসিএ’র কাজ? শুধু শুধু সনদ দিয়ে আমরা কী করবো?’

সনদের মেয়াদ তিন বছর করার সমালোচনা করে দোলন চন্দ্র দেব বলেন, ‘এত কষ্ট করে পাওয়া সনদ কি ফেলে দেবো? চাকরিই যদি না হবে তাহলে সনদ কেন পেলাম? এছাড়া আমরা অনার্স-মাস্টার্স পাস করে কি হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবো না?’

এ সময় বক্তারা সাত দফা দাবি উপস্থাপন করে সরকারকে দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। অন্যথায় রাজপথে আন্দোলনের ডাক দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন নিবিন্ধত মেধাবীরা।

সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধন বাতিল করে আগে এক থেকে ১২তম ব্যাচের নিবন্ধিতদের নিয়োগ দিতে হবে। সার্টিফিকেটধারীদের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্যানেলভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে। উপজেলা কোটা বাদ দিতে হবে। ৬০ হাজার জাল সনদধারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে। খণ্ডকালীন সৃষ্ট পদ বিলুপ্ত করে এক থেকে ১২তম ব্যাচের বৈধ শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে হবে। টাকার বিনিময়ে এনটিআরসিএ’র নিয়োগ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। সার্টিফিকেটের মেয়াদ তিন বছর থেকে আজীবন বহাল রাখতে হবে।

/আরএআর/এসএমএ/