মুক্তামনির চিকিৎসা: পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘ পথ

মুক্তামনিবিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামনির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, তবে পুরোপুরি সারতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সোমবার (১৭ জুলাই) বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘মুক্তামনির চিকিৎসা নিয়ে একটি কথা বলতে চাই, A Long way to go (দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে)। মুক্তামনির এক অপারেশনে হবে না, একাধিক অপারেশন করতে হবে। তবে, তার সুস্থতার বিষয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদী।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত ১১ জুলাই সকালে যখন মুক্তামনি এখানে আসে, তখন তাকে দেখে প্রথমেই আমরা বলেছি, বাচ্চাটি মারাত্মক রক্তশূন্যতায় ভুগছে। সেইসঙ্গে ছিল অপুষ্টিও।’ শিশুটি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে জানিয়ে ড. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘এখন তার অবস্থা উন্নতির দিকে। তার যেসব টেস্ট করানো হয়েছিল, সেগুলোর রিপোর্টও ভালো। তবে কয়েকটা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও হাতে পাইনি।’

তিনি বলেন,‘দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়াতে মুক্তামনির রক্তশূন্যতা কিছুটা কমে এসেছে, দরকার হলে আবারও তাকে রক্ত দেওয়া হবে। হয়তো কয়েকদিনের মধ্যেই মেডিক্যাল বোর্ড বসে সবকিছু বিশ্লেষণ করে মূল চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করবো।’

প্রসঙ্গত, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাতক্ষীরার ১১ বছরের মেয়ে মুক্তামনি ‘লিমফেটিক ম্যালফরমেশন’ রোগে আক্রান্ত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। এই রোগের কারণে তার এক হাত ফুলে গিয়ে দেহের চেয়েও ভারী হয়ে গেছে। চার বছর ধরে এই হাতের ‘বোঝা’ বয়ে বেড়াচ্ছে শিশুটি। শরীরের অসহ্য যন্ত্রণায় খেলাধুলা তো দূরের কথা, ঠিকমতো বসতেও পারে না মেয়েটি।

ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি হওয়ার পর গত ১২ জুলাই মুক্তামনির চিকিৎসার জন্য আট  সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। পরে মুক্তামনির চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জেএ/এএম/টিএন/