টানা বৃষ্টিতে রাজধানীজুড়ে তীব্র জলাবদ্ধতার কারণে মোরশেদা বেগমকে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে।
শুধু মোরশেদা বেগমই নয়, বুধবার তার মতো এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে এ নগরীর হাজারো মানুষকে।
মোরশেদা বেগমের অভিযোগ, নগরীতে গণপরিবহনের সুষ্ঠু কোনও ব্যবস্থাপনা না থাকায়, বছরের পর বছরজুড়ে নগরবাসীকে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। এ নিয়ে বিআরটিএসি ও সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কোনও উদ্যোগ নেই।
বর্ষার শুরু থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ঢিলে তালে চলছে উন্নয়ন কাজের খোঁড়াখুড়ি। বৃষ্টি হলেই শুরু হয় জলাবদ্ধতা। এ কারণে কোথাও দেখা দেয় গণপরিবহন সংকট, আবার কোথাও ঘন্টার পর ঘণ্টা যানজটে স্থবির হয়ে যায় নগরী। বুধবার সকাল থেকে পরিবহন সংকট আর যানজটের তীব্রতা ধারণ করে অসহনীয় পর্যায়ে। এ কারণে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়েছে কর্মব্যস্ত মানুষদের।
সড়কে বাসের দেখা মিললেও সিটিং সার্ভিসের নামে অধিকাংশ বাস দরজা বন্ধ করে চলাচল করছে। তারা গণপরিবহনে সিটিং সার্ভিসের লেবাস লাগিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে না। বুধবার দুপুরের দিকে বৃষ্টি থেমে গেলে বাসা বা অফিসে ফেরার তাড়া থাকায় যাত্রীচাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মান্ধাতার আমলের পরিবহনগুলো। লক্কড়-ঝক্কড় এসব গাড়িতে উঠতে নারীসহ যাত্রীদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
দুপুর একটার দিকে শাহবাগে অপেক্ষমাণ যাত্রী গিয়াস উদ্দিন রাকিব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মিরপুরে যাওয়ার উদ্দেশে বাসের জন্য এক ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করার পর একটি বাসে উঠেছি। বিকল্প অটো সার্ভিস নামের পরিবহনটি সিটিং সার্ভিসের নামে বিআরটিসি নির্ধারিত ভাড়ার তিনগুন বেশি নিয়েছে।’
এদিকে পল্টন-শাহবাগ এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেওয়ায় হাইকোর্টের সামনে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে রওয়ানা দিয়েছেন বেসরকারি একটি কোম্পানির কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
গাড়ি চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টির সময় অনেক মানুষ কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। বৃষ্টি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই একযোগে বের হয়ে পড়েছেন। এখন যাত্রী বেশি থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেসক্লাবের সামনে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নতুন কিছু নয়। বৃষ্টি হলেই পুরো ঢাকাজুড়ে যানজট ও পরিবহন সংকট দেখা দেয়। আজও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
/এসএস /এপিএইচ/
ছবি: নাসিরুল ইসলাম
আরও পড়ুন: