বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান গণজাগরণ মঞ্চের

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বন্যায় আক্রান্ত মানুষের পাশে দল মত নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে গণ জাগরণ মঞ্চ। রবিবার (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে 'হামলা - মামলায় গণজাগরণের গতিরোধের চেষ্টা ; পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও আমাদের বক্তব্য’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে  গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা এই আহবান জানান। 

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ন্যায়বিচারেরর দাবিতে ২০১৩ সালে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চ জন্মলগ্ন থেকেই বিভিন্ন অপশক্তির বাধার সম্মুখীন হয়েছে। তবে সম্প্রতি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ও নজিরবিহীন হামলার মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী তাদের আন্দোলনের গতিরোধের চেষ্টা করছে। রাষ্ট্র এবং তার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এর বিপরীতে প্রতিকারমূলক কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং হামলা-মামলাকারীদের প্রত্যক্ষ প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।

গত ১৭ আগস্ট বন্যায় দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম চলাকালে একদল যুবক 'বন্যা কই পাইছিস, দেশে কোনও বন্যা নাই, তোরাই বন্যার গল্প বানাইছিস’ বলে লাঠিসোটা নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয় হয়নি। পরবর্তীতে ১৮ আগস্ট গত দিনের হামলার প্রতিবাদ জানানো এবং ত্রাণ সংগ্রহের জন্য গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগে অবস্থান নিলে পুলিশ কর্মসূচি পালনে বাধা দেয়। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই অব্যাহত এই হামলা-মামলার প্রেক্ষিতে কোনও অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এর দায়ভার সরকার এবং প্রশাসনকেই নিতে হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন মানবাধিকার সংগঠক খুশী কবির। তিনি বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী একদিকে বন্যা কবলিত অঞ্চলে ত্রাণ দিতে গিয়েছেন, অন্যদিকে তাদের দলের লোকেরাই বলে দেশে বন্যা হয় নাই, সব মিডিয়ার সৃষ্টি। এগুলো তাদের স্ববিরোধী কথাবার্তা। এই ধরনের অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন তিনি। 

সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক ড. অজয় রায় বলেন, বন্যার্তদের সাহায্য করার জন্য যে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছিল সেখানে হামলা করার ঘটনা দুঃখজনক। সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে ছাত্রলীগ এর নাম ব্যবহার করে এরা সরকারের জন্য কলঙ্ক তৈরি করে। তথাকথিত ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি সবার উচিত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর সভাপতি জিলানী শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবীব রুম্মম প্রমুখ।   

/এমটি/টিএন/