মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বৈঠকমেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা তত্ত্বাবধানে গঠিত ওভারসিইং কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এই নির্দেশ দেন। ৬ অক্টোবর এ পরীক্ষা হবে।

গত বছরের ভর্তি পরীক্ষার সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবারও যেন প্রশ্নপত্র তৈরি ও কেন্দ্রে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত কোনও বিচ্যুতি না ঘটে সেদিকে সতর্ক থাকতে সবাইকে নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গতবছর যেভাবে পরীক্ষা প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ ঘটেনি, তেমনিভাবে এবছরও যেন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দেশের বিশিষ্টজন ও প্রবীণ চিকিৎসকদের নিয়ে ওভারসিইং কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের পরামর্শ ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান গত বছর ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্য এনে দিয়েছিল। আগামীতেও সুশীল সমাজের পরামর্শ কাজে লাগানো হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মেডিক্যাল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার মান সমুন্নত রাখতে কোনও আপস  করা হবে না। ভর্তি পরীক্ষার আগে ভুয়া প্রশ্নপত্র বানিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতারণার অপকৌশল বন্ধ করতে ১ সেপ্টেম্বর থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও যেন কোনোভাবে এ ধরনের অপতৎপরতা না চলে তার জন্য নজরদারি বাড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পুলিশ কমিশনারসহ ভর্তি পরীক্ষায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে বসবেন বলে জানান মন্ত্রী।

শুধু ভর্তি পরীক্ষা নয়, সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোর শিক্ষার মান বজায় রাখতে সরকারের গৃহীত কঠোর পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নেও ওভারসিইং কমিটির সহায়তা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার,কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাইমুল ইসলাম খান, ৭১ টেলিভিশনের পরিচালক (বার্তা) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সহিদুল্লাসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।