রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আসামি এ বি এম জয়নাল আবেদীন তৎকালীন পাকিস্তান সচিবালয়, করাচির টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিসে মহাপরিচালকের দফতরে কর্মরত ছিলেন। তখন কোনও এক সময় সার্ভিস বইয়ে জন্ম তারিখের ঘরে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকৃত জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৪০-এর ‘০’ সংখ্যাটিকে ৪-এ পরিবর্তন করে লিখে নেন ১ জানুয়ারি ১৯৪৪।
অভিযোগ আসার পর ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ২০০১ সালে ৮ এপ্রিল তারিখের স্মারক মূলে জানান, জয়নাল আবেদীন ১৯৬১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তার জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৪০। এমনকি তার সার্ভিস বইয়েও জন্মতারিখের ঘর লক্ষ্য করলে ১৯৪০ এর ‘০’ সংখ্যাটিকে ৪-এ রূপান্তরিত করার বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যায়।
ফলে প্রকৃত জন্মতারিখ অনুযায়ী জয়নাল আবেদীনের ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৬ সালে এলপিআরে যাওয়ার কথা থাকলেও সার্ভিস বইয়ে পরিবর্তনের মাধ্যমে বয়স চার বছর কমিয়ে নেওয়ায় ২০০০ সাল পর্যন্ত অন্যায়ভাবে চাকরি করেছেন তিনি। এই সময়ে তিনি বেতন-ভাতা বাবদ মোট পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৫ টাকা অতিরিক্ত নিয়েছেন।
অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এ বি এম জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।