পৃথক ঘটনায় শিশুসহ দগ্ধ তিন জনের মৃত্যু

লাশ

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথক ঘটনায় দগ্ধ এক শিশুসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের একজন আশুলিয়ার রাকিব (৭) এবং অপর দু’জন হলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের সুমন আলী (৩০) ও ফকিরাপুলের সুজন মিয়া (২৬)। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, রাজধানীর ফকিরাপুলে গরমপানির গলিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে একটি ছয় তলা ভবনের নিচ তলায় সুজন মিয়ার বাইন্ডিং কারখানায় গ্যাস থেকে আগুন লেগে সুজন মিয়াসহ তার দুই কর্মচারী মো. মুক্তার (১৮) ও তাহমিন (১২) দগ্ধ হন। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থান শনিবার দুপুরে মারা যান সুজন। অপর দু’জন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে শরীরে ফুটন্ত পানি পরে দগ্ধ হয়ে শুক্রবার ঢামেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ভর্তি হন মো. সুমন আলী (৩২) নামের এক কারখানা শ্রমিক। শনিবার সকালে মারা যান তিনি। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ গ্লোবাল হ্যাপি কেমিক্যাল লিমিটেড (অফসোনিন গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান) নামের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন তিনি। সেখানে কাজ করার সময় ঘটনাটি ঘটে।

এ ব্যাপারে ঐ প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার মো. আরিফ জানান, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাটি ঘটে। বয়লার মেশিন থেকে বের হওয়া গরম পানি যে খোলা স্যুয়ারেজ লাইন দিয়ে অন্য স্থানে যায় সেই লাইনে পা পিছলে পড়ে যায় সুমন। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে পথটি পিচ্ছিল হয়ে ছিল বলেও দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে, শুক্রবার ভোরে  আশুলিয়া ঘোষবাগ ভুইয়াপাড়ায় ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুনে দগ্ধ হয় সাত বছরের শিশুসহ একই পরিবারের তিন জন। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে  ভর্তি করানো হয় তাদের। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে বার্ন ইউনিটের আইসিইউ’তে শিশু রাকিব মারা যায়।