‘ট্রেড-বেইজড মানি লন্ডারিং’ বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি, বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি মনে করেন, অবৈধ অর্থপাচার ঠেকাতে বিদ্যমান আইনি দুর্বলতাও এর অন্যতম কারণ। সোমবার (২ অক্টোবর) ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অ্যান্টি-করাপশন অ্যাডভাইজার জোরানা মার্কোভিকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুদক চায় সরকারি সেবা দেওয়ার পদ্ধতিগত উন্নয়নের মাধ্যমে দুর্নীতির উৎস বন্ধ করতে। কমিশনের সম্পদ পুনঃরুদ্ধার ইউনিট না থাকায় মামলা নিষ্পত্তির পরও জনগণের সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা করা যাচ্ছিল না। তাই দুদকের নিজস্ব সম্পদ পুনঃরুদ্ধার ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’
কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইউএনওডিসি সহযোগিতা করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে ইউএনওডিসির সহযোগিতা প্রয়োজন। জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনের বিধান অনুযায়ী দুদক ইতোমধ্যেই ভুটানের দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এছাড়া রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়টিও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
আগামীকাল মঙ্গলবারও (৩ অক্টোবর) একই সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুদকের বৈঠক হবে। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, ইউএনওডিসির কনসালটেন্ট রিাচার্ড ই. মেসিক, দুদক মহাপরিচালক মো. মঈদুল ইসলাম, মো. আতিকুর রহমান খান প্রমুখ।