গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের পদ্ধতি কী

images (1)আমলযোগ্য অপরাধে পুলিশ যে কাউকে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারবে। অন্যদিকে, আমল অযোগ্য অপরাধে গ্রেফতার করতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে। সেক্ষেত্রে আদালত থেকে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে নিয়েই পুলিশ সংশ্লিষ্ট আসামিকে গ্রেফতার করতে যেতে হবে। অন্যথায় নয়। এমনটাই বলছেন আইনজীবীরা।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শামীম সরদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমলযোগ্য অপরাধ– যেমন, একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে গেলো। সেক্ষেত্রে পুলিশ সেই ঘটনার আলামত, সাক্ষ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করতে পারবে। এখানে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি ছাড়াই তদন্ত শুরু করা যাবে। আসামিকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবে। অর্থাৎ, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী আমলযোগ্য প্রতিটি ঘটনায় পুলিশ মামলা করতে এবং ১৫৬ ধারা অনুযায়ী আদালতের অনুমতি ছাড়াই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

অন্যদিকে, আমল অযোগ্য অপরাধের মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে পাওয়া ছাড়া কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে না। তদন্ত কার্যক্রম চালাতেও আদালতের অনুমতি লাগবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৫ ধারায় আমল অযোগ্য অপরাধের বিষয়ে পুলিশের করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে নিয়েই আমল অযোগ্য মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে হবে। আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও সেটা হাতে না পেলে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।’

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলাসহ অনেক বড় মামলায় সরকারপক্ষের আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন সিনিয়র আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। তিনি বলেন, ‘গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া পুলিশ কোনও আমল অযোগ্য মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে পারবে না। আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও সেটা পুলিশ হাতে না পেলে তারা তামিল করতে পারবে না।’