ঢাকা রেলওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক রাশেদ রানা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, মঙ্গলবার রাতে ঝুমা মহাখালী রেললাইনের পাশে হাঁটাহাঁটি করতে করতে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে কমলাপুরগামী ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে রাত পৌনে ১১টার দিকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। তার বাসা সাভারের কলমা-২ এ।
নিহত ঝুমার মা রাজিয়া সুলতানা বলেন, ঝুমা রাজধানীর বেসরকারি পিপলস্ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। অন্যান্য দিন সে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস শেষে মিরপুর রোড দিয়ে বাসায় চলে আসে। এদিন কেন সে মহাখালী গিয়েছিল, তা জানতে পারিনি। ঝুমা মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাঘাইকান্দি গ্রামের রাশেদ সিকদারের মেয়ে। রাশেদ সাভারের একটি গার্মেন্টে সিকিউরিটি ইনচার্জ ছিলেন। দু’বোনের মধ্যে ঝুমা ছিল ছোট।
এছাড়া, একইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে বনানী রেললাইনের কাছ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির ট্রেনে কাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার ভোরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠান রেলওয়ে থানা সহকারী উপপরিদর্শক রবিউল্লাহ।