১১ সাক্ষীকে জেরা করতে খালেদা জিয়ার আবেদন নিষ্পত্তি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীর জেরার করার অনুমতি চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেছেন হাইকোর্ট। আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘১১ সাক্ষীর মধ্যে দুজনকে একবার জেরা করায়, ফের জেরার প্রয়োজন নেই।’ বাকি ৯ সাক্ষীর ক্ষেত্রে আদালত বলেছেন, ‘যেহেতু এই মামলায় তারেক রহমানের ক্ষেত্রে ওই ৯ সাক্ষীকে জেরা করা হয়েছে, সেহেতু ওই জেরাই খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারে।’

রবিবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন জাকির হোসেন ভূইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

পরে জাকির হোসেন ভূইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ২৭ জুলাই ১১ সাক্ষীর বিষয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন বিচারিক আদালত নাকচ করে দেন। পরে দুই সাক্ষীর ফের জেরা এবং জেরা না হওয়া ৯ সাক্ষীর জেরা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুনানি শেষে আদালত দুই সাক্ষীর ফের জেরার প্রয়োজন নেই বলে আদেশ দিয়েছেন। বাকি ৯ জনের জেরার বিষয়ে আদালত বলেছে, এই মামলায় তারেক রহমানের ক্ষেত্রে এই ৯ জনকে জেরা করা হয়েছে। ওই জেরাই খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।’

জাকির হোসেন বলেন, ‘একই মামলা হলেও খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এক নয়। দুজনের বিরুদ্ধে দুই অভিযোগ। তাছাড়া, ৯ সাক্ষীর জেরা অ্যাডপ্ট করব কি করব না সেটা আমাদের বিষয়, আদালত সেটা বলে দিতে পারেন না। তাই হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করব।’

রাষ্ট্রপক্ষের ৭, ৮, ১৫, ২২, ২৩, ২৭ ও ২৮ নম্বর সাক্ষীকে জেরা এবং ১৬ ও ২৬ নম্বর সাক্ষীকে ফের জেরা করার আবেদন করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত ২৭ জুলাই এ আবেদন নাকচ করে দেন ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। পরে বিচারিক আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন তিনি। রবিবার সে আবেদনই নিষ্পত্তি করেন উচ্চ আদালত।

এতিমদের জন্য দেশের বাইরে থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।