‘এম আর খান ছিলেন শিশু চিকিৎসার পথিকৃৎ’

জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত স্মরণসভাজাতীয় অধ্যাপক এম আর খান দেশে শিশু চিকিৎসার পথিকৃৎ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান। তিনি বলেন, ‘‘তিনি ছিলেন দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের বাতিঘরতুল্য। বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে শিশু বিভাগের বিকাশ ও শিশু চিকিৎসক তৈরিতে তিনি অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন এ দেশের ‘ফাদার অফ পেডিয়াট্রিশিয়ান’।’’
রবিবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত স্মরণসভায় বিএসএমএমইউ উপাচার্য এসব কথা বলেন।
স্মরণসভায় উপাচার্য ডা. কামরুল আরও বলেন, ‘তিনি আজীবন শিশুদের সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসাসেবা দিয়ে গেছেন। এর জন্যই তিনি শিশু চিকিৎসকদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবেন। তিনি ছিলেন একজন সফল মানুষ। এমন গুণী চিকিৎসকের মৃত্যু নেই। কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি তিনি নিজ নিজ এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতেও সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতেন।’
বিএসএমএমইউ শিশু বিভাগ ও বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বিপিএ সভাপতি ও বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
স্মরণসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান, শিশু হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল বাকী, শিশু কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমের (ইপনা) প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতারসহ দেশের নবজাতক ও শিশু চিকিৎসার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।