রাজধানীতে চুলার আগুনে গার্মেন্টসকর্মী দগ্ধ

আগুন (প্রতীকী ছবি)রাজধানীর রূপনগরে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন আসমা (১৪) নামের একজন গার্মেন্টসকর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। রান্নাঘরের চুলা থেকে তার শরীরে আগুন লেগেছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাচ্চু মিয়া।
আগুনে দগ্ধ আসমার গ্রামের বাড়ি ভোলার ইলিশা গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল মান্নান। রূপনগর থানার দুয়ারীপাড়া ভোলা বস্তিতে থাকে সে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আসমা খাবারের জন্য রান্নাঘরে গেলে দুর্ঘটনাবশত কেরোসিনের বোতল থেকে কেরোসিন তেল তার শরীরে পড়ে। মুহূর্তেই চুলার আগুন তার সারাশরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ওই একই বাসায় আসমার প্রতিবেশী নূর নবীসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
নূর নবী জানান, তিনি ভোলা বস্তিতে যে বাসায় থাকেন, ওই একই বাসার কাঠের দোতলায় থাকে আসমা। বাসায় নিচ তলায় রান্নাঘর এবং সেখানেই আসমাসহ অন্যরা খাবার খায়। রাতে গার্মেন্টস থেকে ফিরে আসমা খাবার খেতে আসে। এসময় চুলায় ভাত বসানো ছিল। ভাত দেখতে গিয়ে সে দগ্ধ হয়।
দগ্ধ কিশোরী আসমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি ভাত নাড়া দিতে গেলে ওপরে থাকা কেরোসিনের বোতল আমার মাথার ওপরে ও চুলায় পড়ে। চুলা থেকেই আমার গায়ে আগুন লাগে এবং মুহূর্তেই তা সারাশরীরে ছড়িয়ে পড়ে।’
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। রাত ১১টায় তাকে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
এসআই বাচ্চু মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, আসমার শ্বাসনালীসহ শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’ বিষয়টি রূপনগর থানাকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।