চলে গেলেন ভাষাসৈনিক তকীয়ূল্লাহ

এজেএম তকীয়ূল্লাহভাষাসৈনিক এজেএম তকীয়ূল্লাহ আর নেই। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

বাংলাদেশ এখন যে বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করা হয় তা সংস্কার হয়েছিল তকীয়ূল্লাহর তত্ত্বাবধানে। এই কমিউনিস্ট নেতা বেশ কিছুদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমনে ভুগছিলেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান তার মেয়ে শান্তা মারিয়া। গত বছর হার্ট অ্যাটাকের পর থেকে তিনি অসুস্থ বোধ করতেন। গত ১৩ নভেম্বর থেকে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

সাংবাদিক শান্তা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় পল্টনে কমিউনিস্ট পার্টির কার্যালয়ে নেওয়া হবে তকীয়ূল্লাহর মরদেহ। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নীলক্ষেতে বাবুপুরা পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।

এজেএম তকীয়ূল্লাহ ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর চতুর্থ ছেলে। চল্লিশের দশক থেকে তিনি কমিউনিস্ট রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫১ সালে কমিউনিস্ট পার্টির ঢাকা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এই নেতা। ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি কারাবরণ করেন। তার তোলা ভাষা আন্দোলনের ছবিগুলোতে রয়েছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট।
এজেএম তকীয়ূল্লাহ’র ছোট ভাই চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর। আর তার ভাতিজি গীতিআরা সাফিয়া চৌধুরী সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তার ছেলে আহমেদ ইউসুফ আব্বাস অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম।