মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি আকায়েদ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেলফ র্যাডিকালাইজড হয়েছে। আমরা তার স্ত্রী ও শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমরা তাদের কাছ থেকে যেসব তথ্য পেয়েছি তাতে মনে হয়েছে ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আকায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী ছিল।’
সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘আমাদের এখানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অনুসরণ করা হয়। আকায়েদ বাংলাদেশে এসে কাদের সঙ্গে সে মিশেছে, এদেশের তার কোনও সহযোগী আছে কিনা- তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।’
উল্লেখ্য, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের কাছে পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালে বিস্ফোরণ ঘটে। এর সঙ্গে আকায়েদ উল্লাহ নামে এক বাংলাদেশি যুবকের সংশ্লিষ্টতা পায় নিউ ইয়র্ক পুলিশ। বিস্ফোরণে তার শরীরপুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি জখম হয়েছে। এখন সে হাসপাতালে। আকায়েদের বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাবা-মায়ের সঙ্গে সে যুক্তরাষ্ট্রে যায়। পরে আকায়েদ স্থায়ী মার্কিন নাগরিক হিসেবে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে বসবাস করতে শুরু করে। সেখানে ড্রাইভিংয়ের কাজ করতো সে।