মুক্তামনি কবে বাড়ি ফিরবে, জানা যাবে সোমবার

মুক্তামনিমুক্তামনির বাড়ি ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী সোমবার বৈঠকে বসছে মেডিক্যাল বোর্ড। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বুধবার বাংলা ট্রিবিউনকে একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা দুদিন আগে মুক্তামনির হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিয়েছি। আশা করছি এতে ওর উপকার হবে। ওর ব্যাপারে আগামী সোমবার আমাদের মেডিক্যাল বোর্ড বসবে। সেখানে তাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। ও বাড়ি যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে।’

মুক্তামনির বাবা ইব্রাহীম হোসেন বলেন, ‘ওর হাতে ব্যান্ডেজ দেওয়ার পর খুলে দিয়েছিল। পরে আবার ব্যান্ডেজ করেছে। হাতের ব্যথা সামান্য একটু কমেছে। তবে হাত চুলকায়। এজন্য ওষুধ দিয়েছেন ডাক্তার।’ তিনি বলেন, ‘মুক্তামনির অবস্থা তো জানেন, এই অবস্থায় ওষুধ কেমন কাজ করে বুঝতেই পারছেন। আপনারা আমার মেয়েটার জন্য দোয়া করবেন ও যেন ভাল হয়ে যায়।

এ বছরের ১২ জুলাই বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয় হাতের রক্তনালীর টিউমারে আক্রান্ত মুক্তামনি (১২)। প্রথমে তার রোগটিকে বিরল হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরে বায়োপসি করে জানা যায়, তার রক্তনালীতে টিউমার হয়েছে। তখন তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা। মুক্তামনির সব রিপোর্ট দেখে তারা চিকিৎসা করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ঢামেকের চিকিৎসকরাই তার অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। চিকিৎসার সব খরচের দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তামনির হাতে ১০ অক্টোবর প্রথম অস্ত্রোপচার হয়। তার হাতের ফোলা অংশ অস্ত্রোপচার করে ফেলে দেন চিকিৎসকরা। পরে দুই পায়ের চামড়া নিয়ে দু’দফায় তার হাতে লাগানো হয়।

বার্ন ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালামের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ একদল চিকিৎসক মুক্তামনির স্কিন গ্রাফটিং (চামড়া লাগানো) অপারেশনে অংশ নেন। পরে হাত আবার ফুলে যাওয়ায় তা কমাতে হাতে প্রেসার ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া হয়।