ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী (ফাইল ছবি)মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হওয়ায় সোমবার কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন। সোমবার তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল।’
মেয়ে ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী বলেন, ‘মায়ের তো সেন্স ভাল কাজ করছে। সেখানে অনেক ক্রিটিক্যাল রোগী রয়েছেন, অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। মায়ের সাইকোলজিক্যালি সমস্যা হচ্ছিল। তাই উনাকে কেবিনে ট্রান্সফার করা হয়েছে। ডাক্তাররা আমাদের বলেছেন, মাকে অবজারভেশনে রাখবেন।’
তিনি বলেন, ‘মাকে দেখার পারমিশন কাউকে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা দুই ভাই-বোনই শুধু মাকে খাওয়ানোর জন্য যাচ্ছি। মায়ের ইনফেকশনের ঝুঁকি রয়েছে। তার অন্যান্য যে সমস্যাগুলো ছিল যেমন বিপি উঠানামা করা সেটা তেমন উঠানামা করেনি। তবে, মায়ের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়, তাকে অবজারভেশনেই রাখা হয়েছে।’
বর্তমানে বিএসএমএমইউয়ের ৯ সদস্যের তৃতীয় মেডিক্যাল বোর্ড ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর বিষয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এই বোর্ডের প্রধান হচ্ছেন মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।

উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর বাড়ির বাথরুমে পড়ে আঘাত পান ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। সে সময় তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয়। পরে গত ২৩ নভেম্বর হেপাটোলজি (লিভার) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের অধীনে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি হন প্রিয়ভাষিণী। তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লিভার, কিডনি, ইউরিন ও থাইরয়েডের নানা সমস্যা ও জটিল বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।