খেলাধুলায় পুলিশের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে: আইজিপি

খেলাধুলায় পুলিশের অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক। রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ‘বাংলাদেশ পুলিশ স্পোর্টস ইভিনিং’ আয়োজিত কৃতি পুলিশ খেলোয়াড়দের সম্মাননা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন আইজিপিআইজিপি বলেন, ‘খেলাধুলায় অতীতে পুলিশের অনেক অর্জন ছিল। বিভিন্ন খেলায় পুলিশই সব সময় চ্যাম্পিয়ন, না হয় রানার্সআপ হতো। এখন আর তা হয় না। খেলাধুলার মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান সুনাম অর্জন করতে পারে। তাই আমাদের অতীত ঐতিহ্য পুনরায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি খেলায় ভাল করার চেষ্টা করতে হবে। খেলোয়াড়দের নিয়মিত অনুশীলনের সুযোগ দিতে হবে।’

বাংলাদেশ পুলিশ ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, বাংলাদেশ পুলিশ ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রেনিং-১) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার এবং পুলিশ অফিসারদের স্ত্রী, পুলিশের খেলোয়াড় এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

এবার বর্ষসেরা খেলোয়াড় (পুরুষ) নির্বাচিত হয়েছেন- নায়েক মো. দ্বীন ইসলাম মৈশান। তিনি ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘১৮তম মাইলো ওপেন আন্তর্জাতিক কারাতে প্রতিযোগিতা-২০১৭’ এ ১টি স্বর্ণ এবং ২টি রৌপ্য পদক এবং ‘৩য় আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত কারাতে প্রতিযোগিতা-২০১৭’ এ ২টি স্বর্ণ পদক লাভ করেন। জাতীয় পর্যায়ে মৈশান ‘মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতা-২০১৭’ এ ২টি স্বর্ণ পদক লাভের গৌরব অর্জন করেন।

বর্ষসেরা খেলোয়াড় (নারী) যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কনস্টেবল লতা পারভীন এবং এএসআই (নিরস্ত্র) আকলিমা আক্তার। লতা পারভীন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘৩য় আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত কারাতে প্রতিযোগিতা-২০১৭’ এ ১টি স্বর্ণপদক লাভ করেন। এএসআই আকলিমা আক্তার জাতীয় পর্যায়ে ‘ওরিয়েন্টাল কুস্তি প্রতিযোগিতা-২০১৭’ এ ১টি স্বর্ণ পদক এবং ‘মহান স্বাধীনতা দিবস কুস্তি প্রতিযোগিতা-২০১৭’ এ ১টি রৌপ্য পদক লাভ করেন।

এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবের ইভেন্টে কৃতিত্ব অর্জন করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ক্রীড়া ক্ষেত্রে ‘বর্ষসেরা ইউনিট’ নির্বাচিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্ব অর্জনকারী ১০৯ জন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ১১ জন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে ৩১ জনসহ বিভিন্ন ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলকে পুরস্কৃত করা হয়।