বেসিক ব্যাংকের সাবেক এমডির বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা

বেসিক ব্যাংক

বেসিক ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই মামলায় বে নেভিগেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহিমকে আসামি করা হয়েছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ১৩৭ কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার ৯৮২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিল থানায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। পর্যাপ্ত সহায়ক জামানত না নিয়ে, শাখার নেতিবাচক মতামত থাকা সত্ত্বেও ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ঋণ তোলার পর নির্ধারিত সময়ে তা পরিশোধ না করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আত্মসাত করেছেন। টাকার অংকে যা ১৩৭ কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার ৯৮২ টাকা।

মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুদকের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর-১৩।

উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি বেসিক ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ফখরুল ইসলাম ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ফজলুস সোবহানের সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

এর আগে ২০১৫ সালের ২১-২৩ সেপ্টেম্বর বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ১৫৬ জনকে আসামি করে মতিঝিল,পল্টন ও গুলশান থানায় ৫৬টি মামলা করে দুদক। ১৫৬ জন আসামির মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণগ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে ৪৮টি, ডিএমডি ফজলুস সোবহানকে ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থকে ২৩টি এবং ডিএমডি মোনায়েম খানকে ৩৫টি মামলায় আসামি করে দুদক। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আরও  বেশ কয়েকটি মামলা হয়।

আরও পড়ুন: 

ঢাবিতে ‘হামলাকারী’ ছাত্রলীগ নেতাদের বহিষ্কারের দাবি: ঘেরাও- ভাঙচুর (ভিডিও)