লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালক নিখোঁজ

লেকহেড গ্রামার স্কুলরাজধানীর গুলশানের লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালক খালেক হোসেন মতিন নিখোঁজ। শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাসে তাকে উঠতে দেখা গেছে। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সম্ভাব্য জায়গায় তাকে খুঁজেও পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহকারী ইদ্রিস আলী গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নম্বর ১৩৭৮। গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘শনিবার বিকাল ৪টায় স্কুলের সামনে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন মতিন। এরপর তিনি তাদের সঙ্গে মাইক্রোবাসে উঠে চলে যান। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ঘটনার পর থেকে বন্ধ রয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালকের বিষয়ে থানায় একটি জিডি হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’
জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গত বছরের ৫ নভেম্বর ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লেকহেড গ্রামার স্কুলের গুলশান ও ধানমন্ডির দু’টি শাখা বন্ধের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। প্রতিষ্ঠানটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকা এবং ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্রবাদী সংগঠন সৃষ্টি, জঙ্গি কার্যক্রমের পৃষ্ঠপোষকতাসহ স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর ৭ নভেম্বর ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মেহেদী স্কুলটির দু’টি শাখা বন্ধ করে দেন। 
গত ৯ নভেম্বর লেকহেড স্কুলের দুটি শাখা বন্ধের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিন ও ১২ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের পক্ষে দু’টি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট স্কুলটি খুলে দেওয়ার আদেশ দেন। কিন্তু পরে আবারও তা স্থগিত করে দেয় হাইকোর্ট।

পরে আবারও আদালত স্কুলটি খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় থেকে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট স্কুলটি খুলে দেন। এর পরদিন ১৩ জানুয়ারি থেকেই স্কুলটি খোলা রাখা হয়। লেকহেড স্কুলের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসিফ ইশতিয়াক।