বুধবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। মিছিলটি উপাচার্য কার্যালয়ের পাশ দিয়ে ঘুরে আবার মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রজোটের নেতারা বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, কেবল বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসেই নজিরবিহীন। এর প্রতিবাদে আগামী ২৯ জানুয়ারি সারাদেশে ধর্মঘট পালন করা হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সভাপতি তুহিন কান্তি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কাছে দাবি নিয়ে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ১১ জানুয়ারি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা ও নিপীড়ন করার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগের এমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার উপাচার্যকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবরুদ্ধ করলে ফের শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এই হামলার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আজ বুধবার বিক্ষোভের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন-
চবিতে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা
ছাত্রলীগের হামলায় সিলেটে ছাত্রফ্রন্টের ১০ নেতাকর্মী আহত
সচেতন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ঢাবি ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের দখলে!
ঢাবিতে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘উপাচার্যকে অপমানকারী বাম সন্ত্রাসী’দের বহিষ্কার দাবি ছাত্রলীগের