বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় দ্বীনী শিক্ষা ও দ্বীনী দাওয়াতের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
ড. ইক্বরমা সাঈদ আব্দুল্লাহ সবরী বলেন, ‘পৃথিবী থেকে ঊর্ধ্বাকাশে গমন ও অবতরণের তোরণ হচ্ছে আল আকসা। এই তোরণ দিয়ে নবী করিম (সা.) মিরাজে গিয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপ্রিয় ও সাহসী। আরব থেকে এত দীর্ঘ দূরত্বে অবস্থান করেও শক্তি প্রয়োগ কিংবা যুদ্ধ ছাড়াই বাংলাদেশের মানুষ দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। আল আকসা মসজিদের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসা রয়েছে। আল আকসা আক্রান্ত হলে তারা ব্যথিত হন।’
আল আকসা মসজিদের খতিব আরও বলেন, ‘আমরা একই দ্বীনের অনুসারী এবং রাসূল (সা.) আদর্শে নিজেদের জীবন পরিচালিত করি। এক মুসলিম উম্মাহ হিসেবে আমরা পরস্পরকে ভালবাসি। পবিত্র কুরআনুল কারিম হল ঐক্য ও সকল জ্ঞানের উৎস। মুসলমানদের জীবন সঠিকভাবে পরিচালনার সকল বিধি-বিধান এতে নিহিত রয়েছে। ইসরাইলের দখলদারিত্বের পর ফিলিস্তিনে মুসলমানদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইহুদি-নাসারা এটা সহ্য করতে পারে না।’ যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আল কুদসকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করার পর বাংলাদেশে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানোর জন্য তিনি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস-এর গভর্নর মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, সাবেক সচিব এনআই খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস এর গভর্নর সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, শায়খ খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দী প্রমুখ।
এছাড়া বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্বারীদের মধ্যে মিসরের ড. আহমাদ নাইনা, ইরানের সাইয়্যেদ মুহাম্মদ জাওয়াদ হুসাইনি, সিরিয়ার ক্বারী মুতাসিম বিল্লাহ আল আসালি, আলজেরিয়ার শাইখ রিয়াদ আল জাযায়েরি, ভারতের তইয়্যিব জামাল ও বাংলাদেশের শাইখ আহমদ বিন আল আজহারি সভায় অংশ নেন।
সভাশেষে আল আকসা মসজিদের খতিব বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, নিরাপত্তা ও কল্যাণের জন্য মুনাজাত করেন।