কেজি দরে কেনা, পাউন্ডে বেচা (ফটো স্টোরি)

প্লাস্টিক পণ্য ভাঙার পর ধূয়ে শুকানো হচ্ছেপুরনো ও অব্যবহৃত প্লাস্টিকের জিনিসপত্র হেলায় ফেলে দেয় অনেকে। তবে সেসব সংগ্রহ করে নতুন করে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হয় রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে। আর এ কাজে যুক্ত অনেকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

রঙ অনুযায়ী আলাদা করা হচ্ছে প্লাস্টিক পণ্যরাজধানীর লালবাগ, ইসলামবাগ ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গড়ে উঠেছে রিসাইক্লিংয়ের ছোট-বড় অনেক কারখানা।

ভাঙার পর ধুয়ে শুকানো হচ্ছেদশ বছর ধরে রিসাইক্লিং ব্যবসায় যুক্ত আছেন মো. রুবেল। বুড়িগঙ্গার পাড়ে চলে তার যাবতীয় কাজ। প্রতি মাসে প্রায় আশি লাখ টাকার ভাঙা প্লাস্টিক (প্লাস্টিক চিপস) বেচেন তিনি।প্লাস্টিক

১৫ থেকে ৩০ টাকা সের দরে কেনার পর বাছাই করে রং অনুযায়ী আলাদা করার পর ভাঙার কাজ করতে হয়। এরপর পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে বেচা হয়।

চলছে প্লাস্টিক পণ্য বাছাইয়ের কাজকত টাকা কেজি দরে বেচেন করেন জানতে চাইলে রুবেল বলেন, কেজিতে না, আমরা বিক্রি করি পাউন্ডে।সংগ্রহ করে আনা প্লাস্টিক

কামরাঙ্গীরচর লোহার ব্রিজের নিচে একটি কারখানায় বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের সামগ্রী কাটা ও পরিষ্কার করছেন কয়েক জন শ্রমিক। প্রতিদিন তারা এক টন ওজনের সামগ্রী কাটা ও পরিস্কার করেন।

ভাঙার ধোয়া হচ্ছেকথা হয় এই কারখানার মালিক মুক্তার হোসেনের সঙ্গে। জানালেন, তার কাজের জন্য শ্রমিক আছে আট জন। যাদের বেতন সাপ্তাহিক দুই হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকা। এসব কারাখানায় সাপ্তাহিক বেতনেই সবাই কাজ করেন জানান তিনি।

ভাঙার পর প্লাস্টিক গুঁড়ো
ছবি: নাসিরুল ইসলাম