ন্যায়বিচার পাইনি: সানাউল্লাহ মিয়া

খালেদা জিয়ার রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। (ছবি-টিভি থেকে নেওয়া)

‘আমরা আইনজীবীরাসহ খালেদা জিয়ার পরিবার ও সারাদেশের জনগণ বিক্ষুব্ধ। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই মামলা যিনি প্রথম অনুসন্ধান করেছেন, তিনি অভিযোগপত্র দিয়েছেন।’

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিএনপিপন্থী আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এ কথা বলেন।

সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘কোনও টাকা-পয়সা আত্মসাৎ হয়নি। যদি টাকা-পয়সা আত্মসাৎ না হয়, তাহলে কেন সাজা হলো? যিনি প্রথম অনুসন্ধান করেছেন, তিনি বলেছেন, “খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছুই প্রমাণিত হয়নি।” আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।’ তিনি দাবি করেন, ‘এটি একটি রাজনৈতিক মামলা, রাজনৈতিক বিচার হয়েছে। কোনও নিরপেক্ষ ন্যায়বিচার হয়নি।’

খালেদা জিয়ার কারাবাসের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একজন প্রথম শ্রেণির মর্যাদাপ্রাপ্ত বন্দি যে সুবিধা পাবেন, সেসব সুবিধা তিনি (খালেদা জিয়া) পাবেন। সেটাই দেওয়া হবে বলে পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছে।’

আদালতের পর্যবেক্ষণ নিয়ে খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করার মতো কোনও কথাই পর্যবেক্ষণে নেই। আকস্মিকভাবে তিনি (বিচারক) বললেন, “উনার (খালেদা জিয়া) বয়স, মর্যাদা সবকিছু বিবেচনায় ৫ বছরের জেল দেওয়া হলো।” তার পর্যবেক্ষণের সঙ্গে আদেশের গড়মিল সীমাহীনভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি অন্যায়ভাবে শাস্তি দিয়েছেন।’

খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আসার সময় তিনি কিছু বলেছেন কিনা, জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘দেশবাসীকে ধৈর্য ধরতে বলবেন। জেল-জুলুম দিয়ে আমাকে দুর্বল করা যাবে না। এ দেশের মানুষ আমার সঙ্গে আছে। আমাকে নত করার কোনও সুযোগ নেই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।”

মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘আমরা বিজ্ঞ আদালতের রায় ঘোষণার আগেই বলেছি, সার্টিফায়েড কপি পাওয়া যেহেতু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তাই আমাদের রায় ও আদেশের একটি ফটোকপি দেওয়া হোক। আমরা আশা করি, আগামী সপ্তাহেই আপিল ফাইল করতে পারবো।’